[]
প্রায় আড়াই মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা। হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।
মুক্তিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন ব্রাক্ষনবাড়িয়া নবীনগরের উপ-মহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, মাগুরার উপ-মহাব্যবস্থাপক রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মনির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সহকারী মহাব্যবস্থাপক রাজন কুমার দাস, সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বেলাল হোসেন, কুমিল্লার উপ-মহাব্যবস্থাপক দীপক কুমার সিংহ, লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম (৪৮), এসকে শাকিল আহমেদ (৩১), সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. ব্রাক্ষনবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (আইটি) এবং ঢাকা পল্লীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন বিদ্যুৎ সমিতি-।
প্রায় আড়াই মাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান তারা। মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার শাহাদাত বলেন, আসামিরা রাষ্ট্রবিরোধী নয়, রাষ্ট্রের পক্ষে প্রতিবাদ করেছেন।
যে ধারায় এই মামলা করা হয়েছে সেই ধারায় এই মামলা যায় না। মূলত ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি অপশক্তির প্ররোচনায় মামলাটি করা হয়েছে। আসলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও সমিতির মধ্যে পেশাগত বৈষম্য, বোর্ডের সরবরাহকৃত নিম্নমানের পণ্যসামগ্রী এবং দুর্নীতি-অনিয়মের কথা বলেই ক্ষুব্ধ হতে হয়েছে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। একটি বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তাদের সাথে এমনটি হয়েছে।
আনোয়ার শাহাদাত বলেন, এ মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ফৌজদারি আচরণবিধি ও পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি। এই মামলার কোন যোগ্যতা নেই মানে তালিকা একটি মামলা. মাননীয় আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর খিলক্ষেত থানায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রশাসনিক পরিচালক (আইন শাখা) আরশাদ হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সংস্কার ও বোর্ড ও সোসাইটি একীভূতকরণ এবং অনিয়মিত শ্রমিকদের নিয়মিত করার যৌক্তিক দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। . দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনায় সরকার বেশ কয়েকটি কমিটিও গঠন করেছে। কমিটি আলোচনার জন্য একাধিক বৈঠকও করেছে।
কিন্তু হঠাৎ করে সরকার পরিবর্তনের পর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি না মানতে নানা হয়রানিমূলক পদক্ষেপ নেয়। এরপর সমিতির ২৪ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়, আরও শতাধিক কর্মকর্তাকে সংযুক্ত করা হয় এবং স্তব্ধ মুক্তি, হয়রানিমূলক বদলি এবং একের পর এক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
একপর্যায়ে রাষ্ট্রদ্রোহ, সাইবার নিরাপত্তা আইনে পৃথক তিনটি মামলা করে বোর্ড। এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ পল্লী বিদ্যুত সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। আড়াই মাস পর জামিন পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী।
[]
< href="https://BnglNewsBDHub.com/04//3/bil-9/"> >