আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মনে করছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মন্থর হয়েছে। চলতি অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। জনপ্রিয় উত্থান, বন্যা এবং সংকোচন নীতি প্রবৃদ্ধি হ্রাসের কারণ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আইএমএফের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। 10-সদস্যের একটি IMF টিম 3-18 ডিসেম্বর ঢাকা সফর করে এজেন্সির 4.7 বিলিয়ন ডলার ঋণ কর্মসূচির অধীনে চতুর্থ ধাপ পর্যালোচনা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে বিতরণের আগে। পরিদর্শন শেষে বিবৃতি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইএমএফের কর্মকর্তারা চতুর্থ কিস্তি ছাড়তে সম্মত হয়েছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি তাদের নির্বাহী পর্ষদের কাছে আসবে। এ ধাপে বাংলাদেশ পাচ্ছে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে আইএমএফ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হবে। একই অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৫ শতাংশে।
গত অক্টোবরে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে আইএমএফ অনুমান করেছে যে চলতি অর্থবছর 2024-25 সালে বাংলাদেশের মোট জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে 4.5 শতাংশ। এর আগে চলতি অর্থবছরে আইএমএফের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
এদিকে, অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবেলা এবং বৈদেশিক মুদ্রা সংকট কাটিয়ে উঠতে আইএমএফের কাছে আরও ৭৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। এ ঋণ অনুমোদন হলে আইএমএফ থেকে বাংলাদেশের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।
আইএমএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে ব্যাংকিং খাত থেকে অর্থের বহিঃপ্রবাহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। রাজস্ব আদায় কমে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যয়ের চাপ বেড়েছে।