গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। পরে জনতা তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। রোববার রাতে বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া এলাকা থেকে জনতা তাদের আটক করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার এসআই রেদওয়ান ও বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাসেল আকন।
বিমানবন্দর থানার বরিশাল নগর পুলিশের ওসি জাকির হোসেন শিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভিকটিম সৌরভ বাদী হয়ে রেদওয়ান ও রাসেলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাধবপাশা এলাকায় রাতে কয়েকজন যুবক তাস নিয়ে জুয়া খেলছিল। এ সময় ডিবি পুলিশের পরিচয়ে কয়েকজন সেখানে হামলা চালায়। তারা যুবকের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা বিমানবন্দর থানার ওসিকে জানান। ওই থানার কেউ অভিযানে যায়নি- ওসি এ তথ্য নিশ্চিত করলে স্থানীয়রা দুজনকে আটক করে। বাকি দুইজন পালিয়ে যায়।
কাজিরহাট থানার ওসি মো. মিজান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এয়ারপোর্ট থানার এসআই রেদওয়ানকে আটক করা হয়েছে।
মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হুমাজুন কবির জানান, তাদের কমিটিতে অন্যতম সহ-সভাপতি সাকিবুল হক রাসেল। রাসেলকে গ্রেফতার করা হয় মাধবপাশায়। তারা জানতে পেরেছিল যে দুজন একই ব্যক্তি। চাঁদাবাজির অভিযোগ সত্য হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।