জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য ও চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রসিকিউশনের আবেদনে গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ পরোয়ানা জারি করেন বিচারপতি মো.
আবেদনের শুনানি করেন প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম, বিএম সুলতান মাহমুদ, এসএম মইনুল করিম, শেখ মাহদী।
তাৎক্ষণিকভাবে তাদের গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং ২৬ জানুয়ারি তাদের তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান প্রসিকিউটর মোঃ তাজুল ইসলাম।
এর আগে গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় নিহত সবুর ভাই ও সজলের মা আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনা পালানোর পর গত ৫ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার সব পুলিশ সদস্য ও ঢাকা ডিবি উত্তরের সদস্যরা। অভিযুক্ত, প্রতিবাদী ছাত্র-জনতাকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নির্মূল করার ঘৃণ্য উদ্দেশ্য নিয়ে ছাত্র-জনতার জয়ের উল্লাস করছে। নির্বিচারে গুলি চালায়
আস-সবুর, আব্দুল মান্নান, মিজানুর রহমান, তানজিল মাহমুদ সুজয়, সাজ্জাদ হোসেন সজল ও বায়েজিদকে হত্যা করে আশুলিয়া থানার সামনে নিহতদের লাশ পুড়িয়ে দেয়।
অপরাধের ধরন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীসহ আসামিদের নির্দেশ ও পরিকল্পনায় অন্য আসামিরা নির্বিচারে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্রদের হত্যা করে এবং তাদের দেহ আগুনে পুড়িয়ে সম্পূর্ণভাবে পুড়িয়ে দেয়। বা আংশিকভাবে তাদের নির্মূল করা।