রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদকে উসকানিমূলক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে রোসাটম। রোসাটম বলেছে যে তারা নিজের সুনাম ও স্বার্থ রক্ষার জন্য আদালতে যেতে প্রস্তুত। মঙ্গলবার রোসাটমের এক বিবৃতিতে এমন দাবি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোসাটম তার সমস্ত প্রকল্পে উন্মুক্ত কার্যক্রম, দুর্নীতিবিরোধী নীতি এবং ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাহ্যিক নিরীক্ষার মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়মিত নিশ্চিত করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত মিথ্যা তথ্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ঘাটতির সমস্যা সমাধানে এবং জনগণের কল্যাণে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পরিকল্পনা অনুযায়ী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট (1200 মেগাওয়াট) 2023 সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিট (1200 মেগাওয়াট) 2024 সালে উৎপাদনের কথা ছিল। কিন্তু উৎপাদন তারিখ পিছিয়ে এই বছরের ডিসেম্বরে ঠেলে দেওয়া হয়। সাবস্টেশন ও ট্রান্সমিশন লাইন প্রস্তুত ছিল না। তারপর লাইন প্রস্তুত হয় না এবং মার্চের আগে উৎপাদনে যেতে পারে না।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্পটি রাশিয়ার অর্থায়নে। ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে রাশিয়ার অর্থায়ন ৯৩ হাজার কোটি টাকা।