রাজধানীর ধানমন্ডিতে সীমান্ত স্কয়ার থেকে চুরি হওয়া ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ স্বর্ণালংকার উদ্ধারসহ এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) ও সাদ্দাম হোসেন (৩১)। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জ ও মুরাগনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা চুরির ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
ডিবি-লালবাগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ধানমন্ডি মডেল থানাধীন বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের গ্রাউন্ড ফ্লোরের ‘ক্রাউন ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলার্স’ শো-রুমে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শো-রুমের মালিক কাজী আকাশ বাদী হয়ে ধানমন্ডি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন অজ্ঞাত চোরেরা শো-রুমের তালা কেটে ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন ধরনের ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য দুই কোটি পঞ্চাশ লাখ আটাশ হাজার টাকা।
ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ভিডিও ফুটেজে পাওয়া ছবির সঙ্গে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং অন্যান্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ অভিযান পরিচালনা শুরু করে। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে রুবেল (২৮) নামে একজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পরে কুমিল্লার দেবীদ্বার বাজার সংলগ্ন নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সফিক ওরফে সোহেলকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার মুরাদনগর থানা এলাকার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের একটি জুয়েলারি দোকান থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার এবং ২১ ভরি ১০ আনা চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কারের গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে সাদ্দাম হোসেন (৩১) নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সীমান্ত স্কয়ার স্বর্ণ ও হীরার তিনটি দোকান আছে। এর মধ্যে ক্রাউন ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলার্স নিচতলায়। এর আশপাশে কাপড় ও কসমেটিকসের দোকান। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে, আট থেকে নয়জন চুরির সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে দু’জন ছাড়া সবার মুখ ঢাকা ছিল।
ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলীম জানান, চুরির খবর শুনে থানার কর্মকর্তারা সেখানে যান। ঘটনার সময় মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ী ও কর্মচারী জুমার নামাজে গিয়েছিলেন। ওই দোকানের কর্মচারীরাও তালা লাগিয়ে মসজিদে যান। এসে দেখেন, স্বর্ণালংকার চুরি হয়ে গেছে।