জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান।
গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বনানীর বাড়িতে গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে আহত হন কাজী বাবুল।
সকাল পৌনে ৭টায় আশঙ্কজনক অবস্থায় তাকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
বাবুল কাজীর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে শনিবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয় বাবুল কাজীকে। তার শরীরের ৭৪ শতাংশ পুড়ে যায়, শ্বাসনালীও পুড়েছে। বাবুল কাজীর চিকিৎসায় শনিবারই ১৯ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়।
স্বাধীনতার পরপর কাজী নজরুল ইসলামকে ভারত থেকে দেশে আনার সময় পরিবারের সঙ্গে আসেন বাবুল কাজী। ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি শেষ করে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেন।
১৮৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া কাজী নজরুল ইসলাম ২৫ বছর বয়সে কলকাতায় প্রমীলা দেবীকে বিয়ে করেন।
তাদের ঘরে চার ছেলে সন্তানের জন্ম হয়, যাদের মধ্যে প্রথম সন্তান কৃষ্ণ মোহাম্মদ মারা যায় খুব ছোট বয়সে। দ্বিতীয় সন্তান অরিন্দম খালেদ বুলবুলের মৃত্যু হয় মাত্র চার বছর বয়সে। অপর দুই সন্তানের মধ্যে কাজী সব্যসাচী ও কাজী অনিরুদ্ধ কেউই দীর্ঘায়ু পাননি। আবৃত্তিকার কাজী সব্যসাচী ও উমা কাজীর ছেলে তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট বাবুল কাজী।
তার বয়স ৫৯ বছর। বাবুল কাজীর বড় দুই বোন খিলখিল কাজী ও মিষ্টি কাজী; তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।
জাতীয় কবির আরেক ছেলে কাজী অনিরুদ্ধের পরিবারের বসবাস কলকাতায়।