স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:০৯ | আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৮
ঢাকা: দেশে গত ১০ বছরে অর্থনৈতিক ইউনিট বেড়েছে ৪০ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯৯টি। সমাপ্ত ২০২৪ সালে সারাদেশে মোট অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৪টি। এরমধ্যে স্থায়ী অর্থনৈতিক ইউনিট হচ্ছে ৬২ লাখ ৮৮ হাজার ২১৪টি। অস্থায়ী ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৬২১টি এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত পরিবারের সংখ্যা ৫০ লাখ ১২ হাজার ৫২৯টি। গত ২০১৩ সালে মোট অর্থনৈতিক ইউনিট ছিল ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৫টি। এরমধ্যে স্থায়ী ৪৫ লাখ ১৪ হাজার ৯১টি, অস্থায়ী ৪ লাখ ৮২ হাজার ৯০৩টি এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত পরিবার ছিল ২৮ লাখ ২১ হাজার ৫৭১টি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪’ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানী আগারগাওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং অর্থনৈতিক সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভাপতি ড. কে এস মুর্শিদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, অর্থনৈতিক ইউনিটের বৃদ্ধি শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি হারে বেড়েছে। দেশের মোট অর্থনৈতিক ইউনিটের মধ্যে শহরে রয়েছে ৫৫ লাখ ৩১ হাজার ২০৩টি। ১০ বছর আগে ছিল ২২ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৬টি। এক্ষেত্রে ১০ বছরের ব্যবধানে ইউনিট বেড়েছে ১৩ লাখ এক হাজার ৬৫৭টি।
অন্যদিকে গ্রামে ২০২৪ সালের শুমারিতে অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা েদাঁড়িয়েছে ৮৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৬১টি। ২০২৩ সালের জরিপে ছিল ৫৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৯টি। এক্ষেত্রে বেড়েছে ২৮ লাখ ৫৭ হাজার ১৪২টি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট অর্থনৈতিক ইউনিটের মাত্র ৮ দশমিক ৭৭ ভাগ শিল্প খাতের। বাকিগুলো সেবা খাতের ইউনিট।
৯৩ দশমিক ৫৩ ভাগ বা এক কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ২টি ইউনিটের পরিচালিত হয় পুরুষ দ্বারা। নারী পরিচালক রয়েছে ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৪২টি ইউনিটে। ৩২০টি অর্থনৈতিক ইউনিট পরিচালনা করছে হিজড়ারা।
দেশের অর্থনৈতিক ইউনিট গুলোতে কাজ করছে ৩ কোটি ৭ লাখ ৬১ হাজার ৩৪ জন। যার মধ্যে ৫৬ দশমিক ৮২ ভাগ গ্রামীন। এর আগে ২০১৩ সালে করা অর্থনৈতিক শুমারিতে মোট ইউনিট ছিলো ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৫টি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উৎপাদনশীল খাতে প্রবৃদ্ধি যথেষ্ট কম। অপরপক্ষে সেবা খাতের ব্যাপক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। মোট অর্থনৈতিক ইউনিটের মধ্যে ৯১ শতাংশে সেবা খাত প্রাধান্য বিস্তার লাভ করেছে।
এছাড়া কর্মসংস্থানের মহিলাদের সংখ্যা ২০১৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে কমেছে।
২০২৪ সালের অর্থনৈতিক শুমারিতে শহরে অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা ২৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ । অন্যদিকে গ্রামে এ সংখ্যা ৭০ দশমিক ২৭ শতাংশ। মোট অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা বিবেচনায় গ্রামের প্রাধান্য বেশি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকল্পটির পরিচালক এসএম শাকিল আখতার বক্তব্য রাখেন।
বাংলানিউজবিডিহাব/জেজে/আরএস