‘নির্বাচনের আগেই সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে চায় কমিশন’

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

নির্বাচন কমিশন। ছবি: বাংলানিউজবিডিহাব

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, কমিশন আগামী নির্বাচনের আগেই সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শেষ করতে চায়। এজন্য কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া, নির্বাচন নিয়ে সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের পর্যবেক্ষণ কমিশন থেকে সরকারকে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সকালে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে কমিশনের তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশসহ বিবিধ বিষয়ে পর্যালোচনা হয়য়। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলেন ইসি।

ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন-২০২১। পর্যালোচনা করে জানতে পেরেছি, বর্তমানে আইনে দুটো বিষয় মূলত সমস্যা সৃষ্টি করছে। একটি হলো- জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে নির্ধারণ করা সীমানা এবং আরেকটি হলো- ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে। আমরা প্রস্তাব করতে চাচ্ছি যে, ভৌগলিক আয়তন, অবস্থা ও অবস্থান এবং সর্বশেষ জনশুমারি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সীমানা নির্ধারণের কাজটা করতে।’

বাংলাদেশের জনসাধারণের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটাকে শুধুমাত্র জনসংখ্যা বা জনশুমারির ওপর রাখলে দেখা যাবে শহরের দিকের আসন সংখ্যাগুলো ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকবে এবং অপর এলাকাগুলোর আসন সংখ্যা কমে যাবে। সেটা রিপ্রেজেন্টিং হবে না বলে কমিশন মনে করে।’

কমিশনের তৃতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসি। ছবি: বাংলানিউজবিডিহাব

কমিশনের তৃতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসি। ছবি: বাংলানিউজবিডিহাব

সংসদীয় আসনের সীমার নির্ধারণ আইন-২০২১ এর একটি উপধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই আইনের একটি উপধারা রয়েছে। সেই উপধারায় একটি টাইপিং মিসটেক আছে, আমাদের কাছে তা মনে হচ্ছে। আমরা রেকর্ডের দিক থেকে পেয়েছি যে, এখান থেকে যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল সেখানে উপধারা ২ এর জায়গায় উপধারা ৩ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে টাইপিং মিসটেকের কারণে সম্ভবত উপধারা এক হয়ে গিয়েছে। ফলে যেটা দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন কমিশন কিছুই করতে পারবে না। এই সমস্যাটি তুলে ধরে এটা সংশোধনের জন্য লিখব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৪১টি সংসদীয় আসনে ২৪৮টি সীমানাসংক্রান্ত আবেদন এসেছে। যার বেশিরভাগই আগের সীমানা ফিরে পেতে। আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করছি। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করে সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করব।’

প্রবাসীদের পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সভায় প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। ইসি আবুল ফজল বলেন, ‘এনআইডির তিন কোটি ব্ল্যাঙ্ক কার্ড ১৭২ টাকা করে কেনা হবে। এ ছাড়াও, পর্যবেক্ষকদের ৫ বছর মেয়াদী নিবন্ধনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’ সেইসঙ্গে নতুন পর্যবেক্ষক যুক্ত করা, বা পুরোনো কাউকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে কিনা সে বিষয় পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অনলাইনে ভোটের বিষয়টি কীভাবে আরও বেশি সহজ করা যায়, সে বিষয়েও কমিশন সভায় আলোচনা পর্যালোচনা হয়েছে।

বাংলানিউজবিডিহাব/এনএল/পিটিএম

নির্বাচন কমিশন
সীমানা ‍পুনর্নির্ধারণ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।