প্রতীকী ছবি
বরগুনার তালতলি উপজেলায় মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় মোটরসাইকেল চালক আরাফাত খানকে (২২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা হাবিব উল্লাহ গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কচুপাত্রা পুরাতন বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তালতলি উপজেলার পচাকোড়িয়া ইউনিয়নের কলারং গ্রামের শহীদ সিকদার ও তার দুই ছেলে সোহেল সিকদার, আরাফাত সিকদার এবং ভাতিজা বায়েজিদ সিকদার দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। গত বৃহস্পতিবার তারা কচুপাত্রা বাজারে মাদক বিক্রি করতে গেলে মোটরসাইকেল চালক আরাফাত খান বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
ঐদিন রাত ৯টার দিকে আরাফাত খান প্রতিবেশী হাবিব উল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে বাজারের দিকে যাওয়ার সময় শহীদ সিকদার ১০-১২ জন সন্ত্রাসীসহ তাদের গতিরোধ করে। এরপর আরাফাতকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় অন্তত ৫০ জন মানুষ এই হামলা দেখলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেননি।
এ ঘটনায় আহত হাবিব উল্লাহর বাবা ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, আমার ছেলেকেও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
নিহত আরাফাতের বাবা আব্দুল জলিল খান বলেন, মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের কঠোর বিচার চাই।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান আরাফাত খানকে মৃত ঘোষণা করেন।
তালতলী থানার ওসি মো. শাহ জালাল বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।