স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:০৩
ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার নামে সেফ ডিপোজিট লকার খুঁজে পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) লকারগুলোতে অভিযান শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমান।
দুদক পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাই অভিযোগ করেছিল যে, তাদের নামে লকার আছে। যে ২৫ জনের অভিযোগের ভিত্তিতে এসেছিলাম, তাদের নামে কোনো লকার নেই। এসব কর্মকর্তাদের অনেকেই এখনও বাংলাদেশ ব্যাংকে বহাল এবং অনেকেই সাবেক কর্মকর্তা। অনেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের খুলনা, বরিশাল ও ঢাকাসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক কর্মরত।’
কাজী সায়েমুজ্জমান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকে ২৭২টি সেফ ডিপোজিট লকারের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে সেখানে ওই ২৫ জনের লকার নেই।
২৫ কর্মকর্তা হলেন- সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোরশেদ আলম; সাবেক উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের; বিএফআইইউ সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস; সাবেক ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান; ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার; পরিচালক মো. সারোয়ার হোসেন; যুগ্ম পরিচালক (চট্টগ্রাম) সুনির্বাণ বড়ুয়া; যুগ্ম পরিচালক (চট্টগ্রাম) জোবাইর হোসেন; ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের অনিক তালুকদার; রুবেল চৌধুরী; লেলিন আজাদ পলাশ; অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবদুর রউফ; অতিরিক্তি পরিচালক মো. মঞ্জুর হোসেন খান; জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন; ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ইমাম সাঈদ; সাবেক নির্বাহী পরিচালক এসএম মনিরুজ্জামান; যুগ্ম পরিচালক মো. ওয়াদুদ; সাবেক উপ-পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন; সাবেক সহকারী পরিচালক (ক্যাশ) আনোয়ার হোসেন; বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেইনিং একাডেমির সহকারী পরিচালক আমিরুজ্জামান মিয়া; সাবেক ডিজিএম তরুণ কান্তি ঘোষ; সাবেক নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম; ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান, সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও বিএফআইইউ এর একজন অতিরিক্ত পরিচালক।
এর আগে রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কাজী সায়েমুজ্জমানের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি টিম বাংলাদেশ ব্যাংকে লকারে তল্লাশি করতে আসে। তিনি বলেন, ‘দুদকের টিমটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২৫ কর্মকর্তার লিস্ট নিয়ে এসেছেন। তারা কারেন্সি ডিপার্টমেন্টে লকারের নিয়ে লেজার খাতায় কোনো তথ্য পাননি।’
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ৩০০ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এসব সুরক্ষিত লকারে তাদের বিভিন্ন সম্পদ ও মূল্যবান কাগজপত্র সংরক্ষণ করেছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন বলে মনে করছে দুদক। বড় অংকের সম্পদ মজুদ রয়েছে এমন সন্দেহে সম্প্রতি এসব লকার খোলার জন্য আদালতের অনুমোদন পেয়েছে দুদক। লকার খোলার বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠিও পাঠিয়েছে দুদক।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিকিউরিটি ভল্টে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অর্থ ও সম্পদ রাখার জন্য ব্যবহৃত তিন শতাধিক গোপন লকার শনাক্ত করে দুদক। লকারগুলো বর্তমান ও প্রাক্তন সিনিয়র এবং ভিআইপি কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত বলে জানা গেছে।
বাংলানিউজবিডিহাব/জিএস/পিটিএম