
দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ওরফে ইমনের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হেজাজ ওরফে এজাজকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। সোমবার (১০ মার্চ) গভীর রাতে রাজধানীর জিগাতলার টালি অফিস রোড থেকে তাকে আটক করে যৌথবাহিনী। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে যৌথবাহিনী তাকে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করেছে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মো. আলী ইফতেখার হাসান বলেন, মঙ্গলবার ইফতারের পূর্ব মূহুর্তে যৌথবাহিনী হেজাজকে হস্তান্তর করে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। হাজারীবাগ, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি ও কলাবাগান এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড নামে পরিচিত। সম্প্রতি মোহাম্মদপুর ও হাজারীবাগের বেড়িবাঁধ এলাকায় প্রকাশ্যে চাপাতি বাহিনী ও দখলবাজি করার সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর মধ্যে একটি বড় গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় হেজাজ।
হাজারীবাগ থানা পুলিশ জানায়, হেজাজ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ধানমন্ডির ১৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ছিলেন। জেল থেকে ইমন বাহিনীর চাঁদাবাজির নেটওয়ার্ক হেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতো। তার গ্রুপের অপর সদস্যদের মধ্যে অনিক, কিলার কামাল, প্রিন্স, তাহাজিদ ও ইব্রাহিমকে পুলিশ খুঁজছে। তবে এর মধ্যে ইব্রাহিম বেড়িবাঁধের ক্যান্সার গলি থেকে যৌথ বাহিনী আটক করে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করে। এদিকে, তাহাজিদের বিরুদ্ধে জুলাই ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের দমনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বছর চারেক আগে ইমন বাহিনীর চাঁদাবাজি নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে হেজাজকে ধানমন্ডি থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। ৫ আগষ্টের পর ইমন জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ এলাকায় হেজাজের গ্রুপ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। প্রকাশ্যে চলতে থাকে চাপাতি বাহিনীর দোর্দন্ড প্রতাপ। এরই মধ্যে গত মাসে এক ট্যানাড়ি ব্যবসায়ীকে চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে হেজাজের গ্রুপ। পরে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ওই ব্যবসায়ী মুক্তি পায়।