
পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর রামপুর গজারগাড়ি বিলে ভুট্টাক্ষেত থেকে উদ্ধারকৃত চাঞ্চল্যকর শিশু জুঁই ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চাঁন্দাই ইউনিয়নের বড় গারফা গ্রামের জাহিদুর রহমানের মেয়ে আকলিমা খাতুন জুঁই হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গড়ফা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে শেখ সাদি (১৬), দুলাল হোসেনের ছেলে শাকিব (১৬), সুলতান হোসেনের ছেলে সোহেল রানা (২৫), দিয়ারগাড়ফা গরমাটি গ্রামের শাহীন আলমের ছেলে সিয়াম, (১৩) চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে আবদুল্লাহ (১৬)।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জরুল ইসলাম বলেন, গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে শিশু আকলিমা খাতুন জুঁই তার দাদীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যায় জুঁই দাদি বাড়ি থেকে চলে আসলেও বাড়িতে আর ফেরেনি। পরের দিন সকালে চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ভুট্টাক্ষেতে জুঁইয়ের মরদেহ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে জুঁইয়ের মা মোমেনা খাতুন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই চাটমোহর ও বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ হত্যার সূত্র উদ্ঘাটনে নেমে পরেন। মাত্র ৪ দিনের ব্যবধানে ৫ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ওসি আরও জানান, শিশুটিকে গণধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের রবিবার দুপুরে পাবনার আদালতে প্রেরণ করা হলে তারা ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে দাদির কাছে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় শিশু জুঁই। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার। পরদিন ১৫ এপ্রিল বাড়ির পাশে একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদনে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।