
পটুয়াখালীতে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় সরোয়ার তালুকদার (৩২) নামে এক ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হেতালিয়া বাঁধঘাটসংলগ্ন টেঙ্গাতলা এলাকায় নিজ বসতঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সরোয়ার তালুকদার পটুয়াখালীর কালিকাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি টেঙ্গাতলা মরহুম আলতাফ তালুকদার ও হোসনে আরা বেগমের ছেলে। সরোয়ার পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন।
জানা যায়, বিকেলে সরোয়ারের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্বজনরা। পরে সদর থানায় খবর দেয়া হয়। এরপর পুলিশ রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের প্রতিবেশী ইসমাইল ফকির, লামিয়া আক্তারসহ স্বজনরা জানান, দুপুরে ফুপুর বাড়িতে খেয়ে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান সরোয়ার। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চাচাতো বোন মাহিনুর তাকে অনেক ডাকাডাকির পরে কোনো সাড়া না পেয়ে বাড়ির লোকজনকে জানান। এ সময় সরোয়ারের চাচা ইউনুস তালুকদার দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাকে বিছানার ওপর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন এবং পুলিশে খবর দেন।
ফুপাতো বোন লুৎফা বেগম বলেন, ঘটনার পরে ঘরে ঢুকে মাঝখানের দরজা এবং দুটো জানালা নিচের দিকে ভাঙা দেখতে পেয়েছি এবং সমানের দরজাও সামান্য ধাক্কাতেই খুলে গেছে। আমার ভাই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রতিবেশী মামা সৈয়দ জোমাদ্দার ও নানা হাবিবুর রহমান বলেন, সরোয়ারের সঙ্গে এলাকার কারো কোনো শত্রুতা নেই। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তার রাজনৈতিক সুনামে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ তাকে হত্যা করেছে।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ডিবি ও সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে কাজ করছে।