
প্রতীকী ছবি
খুলনার দাকোপে ডাকাতিয়া খালের ইজারা এবং ছাত্রদলের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১২ মে) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে চালনা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর চালনা পৌরসভার ডাকবাংলা মোড় ও আশপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে দাকোপের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে বাজুয়ার ডাকাতিয়া খাস খালটির ইজারার জন্য ডাক হয়। ওই খাল ডাককে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। চালনা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোজাফফার হোসেন ও জেলা বিএনপির সদস্য শাকিল আহমেদ দিলুর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। বিষয়টি সেখানে ওই সময় থেমে গেলেও উত্তেজনা ছিল উভয় পক্ষের মধ্যে।
এ ব্যাপারে দাকোপের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের জাহাঙ্গীর বলেন, ডাকাতিয়া খালের ইজারাকে ঘিরে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেজন্য আপাতত ইজারাটি স্থগিত রাখা হয়েছে।
এদিকে সোমবার দিনভর দাকোপের পাঁচটি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠনকল্পে বাজুয়া সরকারি এস এন কলেজে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচন শেষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ফেরার পথে উপজেরার ডাকবাংলো মোড়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আবারো সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে বিপুল পরিমাণ পুলিশ যায়। কিন্তু মাথায় ইটের আঘাতে দাকোপ থানার এএসআই আজাহার উদ্দিন আহত হলে তাকে তাৎক্ষণিক খুমেক হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এছাড়া দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে দাকোপ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলামকে একাধিকবার মোবাইলে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
চালনা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোজাফফর হোসেন বলেন, খাল ইজারার ঘটনায় যেটি ঘটেছিল সেটি থেমে গিয়েছিল। কিন্তু বিকেলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় হেরে যাওয়া গ্রুপ। সেখান থেকেই বিকেলের সংঘর্ষ হয়। দিনভর এমন সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ৪-৫ জন আহত হন।
জেলা বিএনপির সদস্য শাকিল আহমেদ দিলুর বলেন, এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়কের সঙ্গে কথা বলছি। পরে বিস্তারিত জানাবো।