ইমনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির দিনে আমিরাতকে হারাল বাংলাদেশ

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

পারভেজ হোসেন ইমনের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ রানের পাহাড় গড়েছিল। দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে সেই রানের পাহাড় ডিঙাতে পারেনি সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে জবাব দিতে নেমে অনেকক্ষণ ম্যাচ ছিল দলটি।

শেষ পর্যন্ত ২৭ রানম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ১৯১ রানের জবাব দিতে নেমে ১৬৪ রানে গুটিয়ে গেছে সংযু্ক্ত আরব আমিরাত। যাতে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

শারজায় বাংলাদেশের ১৯১ রানের বড় সংগ্রহের জবাব দিতে নেমে ভেঙে পড়েনি আরব আমিরাত। ইনিংসের শুরুতে ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম। অপর ওপেনার মোহাম্মদ জোহাইব (৯ বলে ৯ রান) ও তিনে নামা আলিশান সারাফু (১) সুবিধা করতে পারেননি। তবুও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান উঠছিল আরব আমিরাতের। আর তার কারণ ওয়াসিমের মারকাটারি ব্যাটিং।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে রাহুল চোপড়াকে সঙ্গে নিয়ে অসাধারণ একটা জুটি গড়ে তোলেন ওয়াসিম। এই জুটিতে ৪২ বলে ৬২ রান তোলেন দুজন। ১২তম ওভারে দলীয় ১০৩ রানের মাথায় তানজিম আহমেদ সাকিবের বলে ওয়াসিম ফিরলেও রানের গতি কমেনি আরব আমিরাতে। ফেরার আগে ৩৯ বলে ৭টি চার ২টি ছয়ে ৫৪ রান করেন ওয়াসিম।

এরপর শেখ মাহেদীকে পর পর তিন ছক্কা হাঁকানো আসিফ খানকে নিয়ে রানের গতি ঠিক রেখেই এগুচ্ছিলেন রাহুল চোপড়া। দলীয় ১৩৪ রানের মাথায় ২২ বল ৩৫ রান করা আকাশকে সেই তানজিম হাসান সাকিবই ফেরালে বড় ধাক্কা খায় স্বাগতিক আমিরাত।

তবে আসিফ খান স্পিনারদের যেভাবে কচুকাটা করছিলেন তাতে তিনি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ততোক্ষণ আমিরাতের অনেকেই হয়ত আশায় ছিলেন। ২১ বলে ৩টি  চার ৪টি ছক্কায় ৪২ রান করে আসিফ হাসান মাহমুদের বলে ফিরলে সেখানেই আরব আমিরাতের আশা নিভে গেছে।

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানে গুটিয়ে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২টি উইকেট নেওয়া মোস্তাফিজ ৪ ওভারে খরচ করেছন মাত্র ১৭ রান। ৩৩ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া তানজিম হাসান সাকিব ২২ রানে ও শেখ মাহেদি ৫৫ রানে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে বাংলাদেশের ইনিংসটা পারভেজ হোসেন ইমনের গড়া। আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের অপর প্রান্ত থেকে নিয়মিত উইকেট যাচ্ছিল। বড় স্কোর গড়তে পারেননি দলের অন্য কেউ। তবে তাতে ইমনের ব্যাট থামেনি। অপর ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ১০ বলে ৯ রান করে ফিরেছেন দলীয় ১৩ রানের মাথায়। এরপর অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ইমন।

নতুন অধিনায়কত্ব পাওয়া লিটন আজও ব্যর্থ। অফ ফর্মে থাকা টপ অর্ডার আজ ফিরেছেন ৯ বলে ১১ রান করে। এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৫৮ রানের একটা জুটি গড়েন ইমন। বাংলাদেশ দলের বলার মতো জুটি এই একটাই। অবশ্য ৩২ বলে ৫৮ রানের এই জুটিতে ইমন একাই তুলেছেন ১৭ বলে ৩২ রান

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পরেছে বাংলাদেশের। কিন্তু ইমন থামেননি। ব্যক্তিগত রান যখন আশির ঘরে তখন একবার ক্যাচ দিয়েছিলেন। তবে বোলারের নো বলের কল্যাণে বেঁচে গেছেন। এরপর সেঞ্চুরি করে তবেই থেমেছেন তরুণ ব্যাটার। ৫৩ বলে সেঞ্চুরি করে পরের বলেই ফেরার আগে চার হাঁকিয়েছেন ৫টি, আর ছক্কা ৯টি।

১৫ বলে ২০ রান করা তাওহিদ হৃদয় বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।