
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। এর মধ্যে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ৮৬ হাজার কোটি টাকা। সরকারি তহবিল থেকে আসবে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। রোববার সভাশেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, এবার বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৪ শতাংশে নামাতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সভাপতিত্বে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় চূড়ান্ত করা হয় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি। সামনের অর্থবছর এডিপিতে রাখা হয়েছে মোট ১ হাজার ১৭৬ প্রকল্প। যার মাত্র ২৬টি নতুন, বাকিগুলো চলমান প্রকল্প। বরাবরের মতো এবারও পরিবহণ-যোগাযোগ, বিদ্যুৎ জ্বালানি, শিক্ষাসহ বড় ৫ খাতেই ৭০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অপচয়রোধ করে সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়া হয় সভায়।
এডিপিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির চেয়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। তবে, মূল বাজেটে রাখা বরাদ্দের চেয়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকা কম।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘নতুন নতুন অবকাঠামো তৈরি করা হয়নি বলে স্বাস্থ্য বাজেটটা এখানে উন্নয়ন বাজেটে বড় দেখাবে না। শিক্ষা খাতে উন্নয়ন বাজেটেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কারণ কিছু অবকাঠামো নিশ্চই দরকার আছে।’
উপদেষ্টা জানান, মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছেনা। বাজেট ঘাটতি মেটাতে স্বল্পমেয়াদি উচ্চসুদের ঋণ নিতে চায় না সরকার। বাজেট ব্যবস্থাপনা টেকশই করতে বিদেশি ঋণ ও বকেয়া পরিশোধের গুরুত্ব পাচ্ছে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার জন্য মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার জন্য এবং এ বছর থেকে পরবর্তী বছরগুলোতে যাতে বাজেট ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরে আসে, টেকশই হয় বাজেট ব্যবস্থাপনা সেটাই এ বছরের বাজেটের আসল লক্ষ্য।’
ভেঙ্গে পড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করাই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য বলে জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা। তার মতে, বিদায়ী সরকারের কিছু মেগা প্রকল্প এখন গলার কাঁটা।