
‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইসরায়েল যে অভিযান চালিয়েছে, সেটির উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি প্রতিহত করা। এই অভিযানে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি যাদের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হয়েছে। নিহতরা হলেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাঘেরি; ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস-এর প্রধান হোসেইন সালামি; খাতাম আল-আম্বিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের কমান্ডার গোলাম আলী রাশিদ; পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফেরেইদুন আব্বাসি; আরেক পারমাণবিক বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি যিনি ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
ইরানি প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সিনিয়র উপদেষ্টা আলী শামখানি গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টায় অন্তত দুটি ধাপে এই হামলা হয়েছে। ৬টি স্থানে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ইরানের রাজধানী তেহরান ও আশপাশের সামরিক স্থাপনাগুলো; তেহরানের দক্ষিণে নাতাঞ্জ শহর, যেখানে ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র অবস্থিত; তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহর, যেখানে একটি পারমাণবিক গবেষণাকেন্দ্র ও দুটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে; তেহরানের দক্ষিণে ইসফাহান শহর; তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে আরাক শহর এবং তেহরানের পশ্চিমে কেরমানশাহ শহর।