
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার ইঙ্গিত দিলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, খামেনিকে হত্যার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। তিনি দাবি করেন, খামেনিকে হত্যা সংঘাতকে তীব্র করবে না, বরং এটাই হবে এই যুদ্ধের শেষ। এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সমর্থকদের বলেন, আমরা শুধু আমাদের শত্রুর বিরুদ্ধে নয়, আপনাদের শত্রুর বিরুদ্ধেও লড়ছি। তারা ‘ইসরাইল ধ্বংস হোক’, ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’ স্লোগান দেয়। আমরা তো কেবল তাদের পথে রয়েছি। এ হুমকি খুব শিগগির আমেরিকায়ও পৌঁছাতে পারে।’
পরমাণু ইস্যুতে ওয়াশিংটন ও তেহরান পরোক্ষ আলোচনার মধ্যে গত শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। হামলার প্রথমদিনই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এছাড়া হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।
এরপর দুজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানায়, ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকেও হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ইসরাইল। তবে সেই পরিকল্পনা আটকে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে নেতানিয়াহু রোববার ফক্স নিউজকে বলেন, কখনও আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।
ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি। আমরা এরই মধ্যে তাদের শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানীদের টার্গেট করেছি। ওটা মূলত হিটলারের নিউক্লিয়ার টিম।
ইরানের পক্ষ থেকে যুদ্ধ থামানোর এবং পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরু করার যে ইচ্ছার কথা বলা হচ্ছে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘তারা ভুয়া আলোচনা চালিয়ে যেতে চায়, যেখানে তারা মিথ্যা বলে, প্রতারণা করে, আর যুক্তরাষ্ট্রকে সময়ক্ষেপণে ব্যস্ত রাখে। আমাদের কাছে এ বিষয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।’