
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের আশ্বাসে ২৪ ঘণ্টার জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা। শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে আসেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এসময় প্রেস ক্লাবের সামনে কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
পরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শফিকুল আলম। বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীরা জানান, প্রেস সচিবের আশ্বাসে ২৪ ঘণ্টার জন্য কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে জুলফিকার আলী হায়দারকে অপসারণ না হলে কেএমপির সকল কার্যালয় ঘেরাওসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির দেওয়া হবে।
বৈঠকের পর প্রেস সচিব সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনার সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, ‘আমরা খুলনার পুলিশ কমিশনারের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ প্রেস সচিবের কাছে তুলে ধরেছি। পাশাপাশি জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় তার ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরা হয়েছে। তিনি সব শুনে আশ্বস্ত করছেন, আমাদের দাবি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরবেন।
সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি আরও বলেন, তার আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টটা সময় বেঁধে দিচ্ছি। এর মধ্যে পুলিশ কমিশনারকে অপসারণ না করা হলে কেএমপির সকল কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
জুলাই অভ্যুত্থানে মামলায় অভিযুক্ত পুলিশের উপপরিদর্শক সুকান্ত দাসকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই কেএমপি কমিশনারকে অপসারণের দাবিতে খুলনায় বিক্ষোভ চলছে।