
প্রথম ম্যাচে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে একেবারে নৈপুণ্য নিয়ে হাজির হল টাইগাররা। লিটন দাসের ব্যাটিং নৈপুণ্য আর বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে ৮৩ রানের বড় জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ।
রোববার ডাম্বুলার রানগিরি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না সফরকারীদের। কিন্তু ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক লিটন দাস। ১৩ ম্যাচ পর টি-টোয়েন্টিতে ফিফটির দেখা পান তিনি। ৫০ বলের ইনিংসে ৫ ছক্কা ও ১ চারে করেন ৭৬ রান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শামীম হোসেন, যিনি মাত্র ৩০ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন। হৃদয়ও করেন ৩১ রান। সব মিলিয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৭।
লঙ্কানদের জবাব শুরু থেকেই ধুকতে থাকে। শরিফুল ইসলাম ও সাইফউদ্দিন মিলে পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ফেলে দেন ভয়ংকর চাপ। শ্রীলঙ্কা ২৫ রানে হারায় প্রথম ৪ উইকেট। এরপর কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেন নিশাঙ্কা (৩২) ও শানাকা (২০), তবে রিশাদ হোসেনের এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ১৫.২ ওভারে ৯৪ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের এটি আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় রানের ব্যবধানে জয়। ২০২১ বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৮৪ রানের জয় ছাড়া এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়।
লঙ্কানদের বিপক্ষে তাদের মাঠেই এই প্রথম একশর নিচে অলআউট করল বাংলাদেশ। ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে রিশাদ হোসেন ছিলেন বোলিং নায়ক। তাঁর সঙ্গে শরিফুল ও সাইফউদ্দিন নেন দুটি করে উইকেট।
সিরিজে এখন ১-১ সমতা। ফলে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ হয়ে উঠেছে অলিখিত ফাইনাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ১৭৭/৭ (লিটন ৭৬, শামীম ৪৮, হৃদয় ৩১; বিনুরা ৩/৩১)
শ্রীলঙ্কা: ৯৪/১০ (নিশাঙ্কা ৩২, শানাকা ২০; রিশাদ ৩/১৮, শরিফুল ২/১২, সাইফউদ্দিন ২/২১)
ফল : বাংলাদেশ ৮৩ রানে জয়ী
সিরিজ : দুই ম্যাচ শেষে ১-১ সমতা
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : লিটন কুমার দাস