
গোপালগঞ্জে দফায় দফায় এনসিপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা, সংঘর্ষের ঘটনায় যে চারজন নিহতের খবর এসেছে তার মধ্যে একজন রমজান কাজী। তিনি কোটালীপাড়া উপজেলার বাসিন্দা হলেও শহরের বিসিক এলাকায় বাবা-মার সঙ্গে থাকতেন বলে পরিবার জানিয়েছেন। বুধবার বিকালে তার মরদেহ গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে শনাক্ত করেন স্বজনরা।
রমজানের চাচা মনিরুজ্জামান রাতে জানান, ঘটনার সময় রমজান শহর দিয়ে হেঁটে কাজে যাচ্ছিল। এ সময় সে গুলিবিদ্ধ হয়। সে ছিল টাইলস মিস্ত্রি। পরিবার কোটালীপাড়ার হলেও রমজানের জন্ম-কর্ম শহরেই বলে জানান তার চাচা।
তিনি আরও জানান, রাতে মরদেহ হাসপাতাল থেকে স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে শহরের কবরস্থান মসজিদে রমজানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই রাতে তাকে দাফন করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস বুধবার রাত বলেন, আমাদের এখানে চারজনের মরদেহ আনা হয়েছে।
নিহতরা হলেন শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০), কোটালিপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (১৭), শহরের শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫) এবং সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন।
চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘাতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর গুরুতর আহত ৩ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।