
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বিলুপ্তির সুপারিশের প্রতিবাদ জানিয়েছে ৬৭টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে কমিটি দাবি করেছে, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নবিরোধী কোনো সুপারিশ করা হলে, তা নারীবিরোধী শক্তিকেই উৎসাহিত করবে। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে এই বিবৃতি দেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম।
বিবৃতিতে ১৪ জুলাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সংবিধানে উল্লিখিত সংরক্ষিত নারী আসন বিলুপ্তির প্রস্তাব দেওয়াকে সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থী উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি বলেছে, এমন সুপারিশ জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, জাতিসংঘের সিডও সনদ ও এসডিজির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বিবৃতিতে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি বলেছে, নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। একই সঙ্গে নারীবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি সক্রিয় রয়েছে। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি মনে করে, এমন পরিস্থিতিতে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নবিরোধী কোনো সুপারিশ করা হলে, তা নারীবিরোধী শক্তিকেই উৎসাহিত করবে এবং সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণকেই সমর্থন করা হবে।
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রশ্নে নারী সমাজের প্রত্যাশার প্রতিফলন প্রয়োজন উল্লেখ করে বিবৃতিতে তিনটি দাবি জানিয়েছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। এর মধ্যে প্রথম দাবি হলো, জাতীয় সংসদের সাধারণ আসনে নারী–পুরুষ উভয়ই নির্বাচন করতে পারবেন। অন্য দুই দাবি হচ্ছে, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন থাকতে হবে, তবে তা জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ন্যূনতম এক–তৃতীয়াংশে উন্নীত করতে হবে।