অপহরণ থেকে বাঁচতে ৪ লাখ টাকা ও ১১ ভরি স্বর্ণ ছুড়ে ফেলেন তিনি – BanglaNewsBDHub.com |

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo



রাজধানীর সচিবালয় মেট্রোস্টেশনের কাছে র‍্যাবের পোশাক পরা কিছু লোক রঞ্জন চন্দ্র সিংহ নামের এক ব্যক্তিকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। তাদের হাত থেকে বাঁচতে ৪ লাখ টাকা ও ১১ ভরি স্বর্ণালংকার ভর্তি ব্যাগটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলেন দেন তিনি। শনিবার (২ আগস্ট) ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের কার্যালয়ে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে গত সোমবারের ওই ঘটনা তুলে ধরা হয়।

ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম এক ডাকাতির ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, এ ঘটনায় শাহবাগ থানা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার আট জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন- মিন্টু হালদার (৪২), নাজমুল হাসান (৪০), নির্মল হালদার (৩৭), সালাউদ্দিন (৩৫), দেলোয়ার হোসেন সিকদার (৫৫), সৈয়দ শামীম হোসেন (৪৫), পবিত্র পাল (৩৮) ও বলরাম চন্দ্র পাল (৩৭)।

ডিসি মাসুদ আলম বলেন, সোমবার বেলা ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে রঞ্জন চন্দ্র সিংহ নামের ওই ব্যক্তি হেঁটে বাংলাদেশ সচিবালয় মেট্রোস্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে র‍্যাবের পোশাক পরা তিন-চার ব্যক্তি তাকে জোর করে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় রঞ্জন তাদের হাত থেকে বাঁচতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারভর্তি ব্যাগ রাস্তায় ছুড়ে ফেলেন। তখন র‍্যাবের পোশাক পরিহিত লোকজন রঞ্জনকে ধাক্কা দিয়ে তার ব্যাগটি রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। ব্যাগে ছিল নগদ ৪ লাখ টাকা এবং প্রায় ১১ ভরি স্বর্ণালংকার। পরে এ ঘটনায় মামলা হয়।

তিনি বলেন, শাহবাগ থানার একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অভিযান চালায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে শাহবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই আট জনকে ধরা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত র‍্যাবের পোশাক, ব্যাজ, ক্যাপ, ১১টি মোবাইল ফোন, ২টি খেলনা পিস্তল, ২টি হাতকড়া উদ্ধার করা হয়।

রমনা জোনের ডিসি বলেন, র‍্যাব পরিচয়ে যারা ডাকাতি করেছেন, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য। তারা রাজধানীর তাঁতীবাজার স্বর্ণপট্টি এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের অনুসরণ করে সুবিধাজনক স্থানে পথ রোধ করে র‍্যাব ও ডিবির পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করতেন।

  • অপহরণ
  • রাজধানী
  • মন্তব্য করুন

    আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।