
বগুড়ার শিবগঞ্জে মা ও ১৭ বছর বয়সী ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিবেশীরা বাড়িতে প্রবেশ করে তাদের মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন। এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার শিবগঞ্জ ইউনিয়নের সাদুল্ল্যাপুর বটতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সাদুল্যাপুর বটতলা গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী ইদ্রিস প্রামানিকের স্ত্রী রানী খাতুন (৪০) ও ছেলে ইমরান প্রামাণিক (১৭)। ইমরান বগুড়া শহরের নিশিন্দারা ফকির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং তার বোন ইভা প্রামাণিক বগুড়া শহরের একটি মেসে থেকে কলেজে থেকে লেখাপড়া করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাদুল্লাপুর এলাকার প্রবাসী ইদ্রিস আলীর স্ত্রী রানী ও ছেলে ইমরান থাকতেন। সকালে তাদের সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা বারান্দায় রানীর এবং শয়নকক্ষে ইমরানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। মরদেহ দুটি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা মা ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। তবে হত্যার কারণ কি তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। হত্যাকাণ্ডের কারণ তদন্তে কাজ করছে পুলিশ।
নিহতের মেয়ে ইলা প্রামাণিক বলেন,‘আমার মা ও ভাইকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান বলেন, হত্যাকাণ্ডের সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতদের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পিবিআইয়ের ক্রাইম সিন টিম তদন্ত করে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।