অনুমিতভাবে সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলই হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি। সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ তার প্যানেলের ১৫জন প্রার্থী গত ১ অক্টোবর নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকেই বুলবুলের নতুন সভাপতি হওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।
নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ ও অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন তামিম ও তার প্যানেল।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন ২৫ জন পরিচালক। পরে তাদের সম্মতিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
সভাপতি হতে বুলবুলের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করেননি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
বিসিবির নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং পরে তামিম ইকবালদের সরে আসা নিয়ে বিতর্ক চলেছে অনেক আগ থেকেই। জেলা ও বিভাগীয় ক্যাটাগরি থেকে যেসব কাউন্সিলর নির্বাচন করা হয়, তাদের মনোনয়নে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছে। ক্লাব ক্যাটাগরি থেকেও অনেক বড় ক্লাবগুলো সরে যাওয়াতে সেখানে বুলবুল ঘনিষ্ঠদের আধিপত্য ছিল।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১২টি পদের বিপরীতে ১৭ জন প্রার্থী থাকলেও নির্বাচনের আগের দিন আরও তিনজন সরে দাঁড়ান। ফলে বাকি ১৪ জনের মধ্যে কারা নির্বাচিত হবেন, তা আগেই অনেকটা পরিষ্কার ছিল।
আজ নির্বাচনে পরিচালক হয়েছেন যারা-
ক্যাটাগরি-১ (জেলা ও বিভাগ কোটায়): চট্টগ্রাম- আহসান ইকবাল চৌধুরি, আসিফ আকবর, খুলনা- আব্দুর রাজ্জাক রাজ, জুলফিকার আলী খান, ঢাকা- নাজমুল আবেদিন ফাহিম, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, বরিশাল- সাখাওয়াত হোসেন, সিলেট- রাহাত শামস, রাজশাহী- মোখলেসুর রহমান ও রংপুর- হাসানুজ্জামান।
ক্যাটাগরি-২ (ঢাকার ক্লাব কোটায়): ইশতিয়াক সাদেক, শানিয়ান তানিম, মেহরাব আলম চৌধুরী, ফারুক আহমেদ, আমজাদ হোসেন, মোকসেদুল কামাল, মঞ্জুরুল আলম, আদনান রহমান দিপন, আবুল বাশার শিপলু, ইফতেখার রহমান মিঠু, ফয়জুর রহমান ও নাজমুল ইসলাম।
ক্যাটাগরি-৩ (সাবেক ক্রিকেটার এবং সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোটা): খালেদ মাসুদ পাইলট।
এ ছাড়া এনএসসি কোটায় নির্বাচিত হয়েছেন: এম ইসফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।