ফজর নামাজ কয় রাকাত জানতে পারবে এই প্রবন্ধের মধ্যে। ফজর একটি আরবি শব্দ। ফজরের নামাজর আরবি ( صلاة الفجر ) সালাতুল ফাজ্’র। মুসলিমদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে এক ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নামাজ হলো ফজরের নামাজ। ৪৭০ নামাজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম। সূরা নূরের ৫৮ নং আয়াতে ফজরের সালাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ফজরের নামাজের নিয়ম
ফজরের নামাজ [২+২=৪] দুই রাকাত সুন্নত ও দুই রাকাত ফরজ নামাজ নিয়ে গঠিত। তবে বিশেষ করে, ফজরের ফরজ অংশ ইমামের নেতৃত্বে জামাতের সাথে আদায় করা হয়।
ফজর শুরু হয় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত ফজরের নামাজের সময়। ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের পর ফরজ নামাজ পরতে হয় অর্থাৎ ২+২= ৪ রাকাত। ফজরের সময় শুরু হওয়া থেকে ইসলামের অন্যতম একটি স্তম্ভ রোজার সময়ও শুরু হয়।
ফজরে প্রথমে দুই রাকাআত সুন্নাত এবং পরে দুই রাকাআত ফরজ।
সুন্নত নামাজের নিয়ত: নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তাআলা মুতাও য়াজজিহান্ ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।
ফরজ নামাজের নিয়ত: নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, ফারজুল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
ফজরের নামাজ কয় রাকাত
ফজরের নামাজ 4 রাকাতঃ
(ক) দুই রাকাত সুন্নতঃ
(খ) দুই রাকাত ফরজঃ
(ক) ফজরের দুই রাকাত সুন্নতঃ
সুন্নত নামাজের ক্ষেত্রে আপনি একা একা সুন্নত নামায পড়বেন। কোন শব্দ করবেন না। মনে মনে সুন্নত নামাজ পড়তে হবে।
প্রথমে কেবলা মুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে। এরপর নামাজের নিয়ত করতে হবে।
ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়তঃ
নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তাআলা মুতাও য়াজজিহান্ ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।
সালাতের নিয়ত করা হয়ে গেলে, দুই হাত কান বরাবর তুলে আল্লাহু আকবার বলব। এরপর দুই হাত নাভির উপর বাঁধবে।
হাত বাধার ক্ষেত্রেঃ ডান হাতের তালু নাভীর উপর রাখবো এবং ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে বাম হাতের কব্জি ধরবো।
এরপর সানা পড়বে।
বাংলা উচ্চারণ: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা, ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।
সানা পড়া হয়ে গেলে। আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলবো। এরপর সূরা ফাতিহা পাঠ করবো।
সূরা ফাতিহা পাঠ করার পরে যে কোন একটি সুরা পরবো। অনেকগুলো নামাজের ছোট ছোট সূরা দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে আপনি মুখস্ত করতে পারেন।
এরপরে আল্লাহু আকবার বলে রুকু করবে।
রুকুঃ রুকু করার ক্ষেত্রে দু হাত হাটুর উপর রাখবো জেন মাথা পিঠ, এবং কমর সমান্তরাল হয়।
রুকুতে গিয়ে তিনবার “সুবহানা রব্বিয়াল আযীম” বলতে হবে।
এর পর সিজদাহ করতে হবে।
সিজদাহ করার ক্ষেত্রেঃ প্রথমে দুই হাঁটু মাটিতে রাখতে হবে। এরপর দুই হাত মাটি তে রাখতে হবে। এরপর দুই হাতের মাঝখানে নাক এরপর কপাল মাটিতে রাখতে হবে।
সিজদা করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন দুই হাতের আংগুল গুলো একসাথে থাকে এবং কেবলা মুখী হয়। এবং দুই পায়ের আঙ্গুল গুলো যেন কেবলা মুখী হয়।
সিজদায় গিয়ে তিনবার “সুবহানা রব্বিয়াল আলা” বলতে হবে।
এরপর আল্লাহু আকবার বলে সোজা হয়ে বসে দুই হাত হাঁটুর উপর রাখবে। পূর্বের মত আবার দুই হাত মাটির রেখে, দুই হাতের মাঝখানে নাক এবং কপাল রেখে সেজদা করে “তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” বলবে।
দুইবার সেজদাহ করার পরে। আল্লাহু আকবার বলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে।
লেটেস আপডেট পেতে আমাদের গুগোল নিউজে |
আরো জানতে পারোঃ
দ্বিতীয় রাকাতের ক্ষেত্রেঃ
প্রথম রাকাত যেভাবে পড়লে একইভাবে দ্বিতীয় রাকাত পড়তে হবে। এভাবে দ্বিতীয় রাকাত পড়বে তবে যে যে বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে তা হল।
তবে সেজদা যাওয়ার পরে সোজা হয়ে দাঁড়ানো যাবেনা। মটিতে কেবলা মুখী হয়ে বসে থাকতে হবে। এরপর সম্পূর্ণ আত্তাহিয়াতু পড়তে হবে। আপনি আত্তাহিয়াতু এর সাথে দুরুদ এবং দোয়া মাসুরা পড়তে পারেন।
আত্তাহিয়াতু ও দরুদ এবং দোয়া মাসুরা পড়ার পরে সালাম ফেরাতে হবে। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ বলে ডানদিকে মাথা ঘোরাতে হবে এবং পরে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ বলে বাম দিকে সালাম ফেরাতে হবে। এভাবে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ শেষ করতে হবে।
ফজর নামাজ কয় রাকাত
[sc_fs_multi_faq headline-0=”h2″ question-0=”ফজরের নামাজ কয় রাকাত ?” answer-0=”ফজরের নামাজ ৪ রাকাত: (ক) দুই রাকাত সুন্নতঃ (খ) দুই রাকাত ফরজঃ ” image-0=”” headline-1=”h2″ question-1=”ফজরের সুন্নাত ও ফরজ নামাজের নিয়ত কি কি?” answer-1=”সুন্নত নামাজের নিয়ত: নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তাআলা মুতাও য়াজজিহান্ ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার। ফরজ নামাজের নিয়ত: নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, ফারজুল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।” image-1=”” count=”2″ html=”true” css_class=””]