সফটওয়্যার কত প্রকার একে অনেকে জানতে চেয়েছে, তাহলে ধারাবাহিকতায় এ পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে, এই পোস্টের মধ্যে সফটওয়্যার কত প্রকার, কি কি, উদাহরণসহ, বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন.

সফটওয়্যার দুই প্রকারে ভাগ করা যায়: সিস্টেম সফটওয়্যার (System Software) এবং এপ্লিকেশন সফটওয়্যার (Application Software).

  1. সিস্টেম সফটওয়্যার (System Software): এই ধরণের সফটওয়্যার মূলত কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের কাজে ব্যবহারিত হয়। এটি কম্পিউটারের মনিটর, কীবোর্ড, মাউস, স্টোরেজ ড্রাইভ, প্রিন্টার, ইন্টারনেট সংযোগ, অপারেটিং সিস্টেম (উইন্ডোস, ম্যাক OS, লিনাক্স, ইত্যাদি) সহ হার্ডওয়্যারের সম্পর্কে যা দরকার, তা নিয়ন্ত্রণ করে।
  2. এপ্লিকেশন সফটওয়্যার (Application Software): এই ধরণের সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যবহারকারীদের কাজে সাহায্য করে, উদাহরণস্বরূপ টেক্সট এডিটর, ইমেইল ক্লায়েন্ট, গেম, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সফটওয়্যার, অফিস সুইট (Microsoft Office, LibreOffice), ব্রাউজার, মিডিয়া প্লেয়ার, ইত্যাদি সব এই ধরণের সফটওয়্যারের উদাহরণ।

এই দুই প্রকারের সফটওয়্যার কম্পিউটার ব্যবহারের প্রাথমিক উপাদান এবং একইসাথে সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ সম্পর্কে সাধারণ ধারণা প্রদান করে।

সফটওয়্যার কত প্রকার

সফটওয়্যার হলো কম্পিউটারের একটি মৌলিক পার্ট, যা কম্পিউটারের সম্পূর্ণ কাজে সাহায্য করে। সফ্টওয়্যার বিশ্বের বেশিরভাগ ডিভাইসে প্রয়োজন, সফটওয়্যার ছাড়া ডিভাইস যে কোন ডিভাইস অচাল।  যেমন কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, গেমিং কনসোল, এবং ইঞ্জিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে। সফ্টওয়্যারের এই বিভিন্ন ধরণের উপযোগী ফর্মেট প্রয়োজন যা ব্যবহারকারীর কাজে সাহায্য করে তাদের কাজ আরো সহজ করে দেয়।

সফটওয়্যারের প্রকার

সফটওয়্যার বোঝার জন্য প্রাথমিকভাবে আমরা দুই প্রকারে ভাগ করতে পারি – সিস্টেম সফটওয়্যার এবং এপ্লিকেশন সফটওয়্যার।

1. সিস্টেম সফটওয়্যার (System Software)

সিস্টেম সফটওয়্যার মূলত কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের অপারেশন পরিচালনা করে। এই ধরণের সফটওয়্যার কম্পিউটারের অস্তিত্ব সমর্থন করে, হার্ডওয়্যারের সম্পর্কে নির্দিষ্ট যাত্রা পরিচালনা করে, এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ যেমন মনিটর, কীবোর্ড, মাউস, স্টোরেজ ড্রাইভ, প্রিন্টার, ইন্টারনেট সংযোগ, অপারেটিং সিস্টেম (উইন্ডোস, ম্যাক OS, লিনাক্স, ইত্যাদি) সহ সব উপাদানের সম্পর্কে যা দরকার, তা নিয়ন্ত্রণ করে। এই ধরণের সফটওয়্যারের উদাহরণ হল ড্রাইভার, অপারেটিং সিস্টেম, এবং উটিলিটি সফটওয়্যার যেমন ডিস্ক ক্লিনার।

2. এপ্লিকেশন সফটওয়্যার (Application Software)

এপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যবহারকারীদের কাজে সাহায্য করে, উদাহরণস্বরূপ টেক্সট এডিটর, ইমেইল ক্লায়েন্ট, গেম, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সফটওয়্যার, অফিস সুইট (Microsoft Office, LibreOffice), ব্রাউজার, মিডিয়া প্লেয়ার, ইত্যাদি সব এই ধরণের সফটওয়্যারের উদাহরণ।

সফটওয়্যারের প্রয়োগ

সফটওয়্যার ব্যবহার একটি ডিভাইসের কাজে সাহায্য করে এবং তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ করে থাকে। সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারের স্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং এপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে।

একটি সাধারণ সফটওয়্যার প্র্যাকটিসে, সিস্টেম সফটওয়্যার সবচেয়ে প্রথম চালানো হয় যাতে কম্পিউটার ঠিকমতো কাজ করতে থাকে, এরপর ব্যবহারকারী এপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।

সফটওয়্যারের প্রকারের একটি তালিকা

সফটওয়্যার প্রকারউদাহরণবিশেষজ্ঞ ব্যবহার
অপারেটিং সিস্টেমWindows, macOS, Linuxকম্পিউটার পরিচালনা
আঁকা/ডিজাইনিং সফটওয়্যারAdobe Photoshop, AutoCADগ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল আর্ট
অফিস সুইটMicrosoft Office, LibreOfficeদলের সাথে কাজ করা, ডকুমেন্ট প্রস্তুতি
ইন্টারনেট ব্রাউজারGoogle Chrome, Mozilla Firefoxওয়েব সার্ফিং, ইন্টারনেট ব্রাউজ
মিডিয়া প্লেয়ারVLC Media Player, Windows Media Playerমিডিয়া ফাইল চালানো

আরো জানতে পারঃ

সফটওয়্যারের প্রয়োগের প্রধান উদ্দেশ্য

  • কাজ সহজতর করা: সফ্টওয়্যার কাজ সহজতর করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ ওয়ার্ড প্রসেসিং সফ্টওয়্যার ডকুমেন্ট সম্পাদনা সহজ করে থাকে এবং স্প্রেডশীট সফটওয়্যার ডেটা ক্যালকুলেশন সহজ করে।
  • গেমিং: গেম সফটওয়্যার খুব জনপ্রিয় এবং বিনোদনের একটি জনপ্রিয় উপাদান। এই ধরণের সফ্টওয়্যার অনলাইনে বা অফলাইনে খেলা করার জন্য বেশি ব্যবহার করা হয় এবং বিভিন্ন প্লাটফর্মে খেলা করা যায়, যেমন কম্পিউটার, গেম কনসোল, স্মার্টফোন, ইত্যাদি।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইনিং: আঁকা/ডিজাইনিং সফ্টওয়্যার গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, এনিমেশন, ওয়েব ডিজাইনিং, প্রিন্ট ডিজাইনিং, এবং মাল্টিমিডিয়া প্রকল্পে ব্যবহার হয়।
  • সার্ভার প্রয়োগ: সার্ভার সফটওয়্যার ডেটা স্টোরেজ, নেটওয়ার্ক সার্ভিস, ওয়েব হোস্টিং, ইমেল সার্ভার, এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহার হয়।

সফটওয়্যার সাথে কম্পিউটারের সফটওয়্যার যোগ করে আমরা প্রফেশনাল এবং ব্যবসায়িক কাজ সহজে সম্পাদনা করতে পারি, এবং প্র্যাকটিস প্রয়োজনীয় নতুন নতুন কৌশল শেখাতে সাহায্য করে। সফটওয়্যার এই বিশেষজ্ঞতা বা ব্যবসা দ্বারা ব্যবহৃত হতে পারে এবং প্রশ্নের সাথে সম্পর্কিত সব সম্ভাব্য সফটওয়্যারের বিভিন্ন প্রকারের জ্ঞান প্রয়োজন হতে পারে।

সফটওয়্যার এই বিশাল বিশ্বের ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকে অনেক সহজ করতে সাহায্য করে, তাই এর ভূমিকা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অপরিসীম। তাই নতুন নতুন সফটওয়্যার তৈরির জন্য আমাদের অনেক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আমরা যদি যেকোনো কাজের জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করলে এটি আমাদের অনেক সময় বাঁচাবে এবং আমাদের জীবনকে আরো সহজ করে তুলবে।

সফটওয়্যার এই বিভিন্ন প্রকারে প্রয়োজন, এটি কম্পিউটারের প্রদানকারী এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক এবং কাজে সাহায্য করে এবং আমরা দৈনন্দিন জীবন প্রস্তুতি করতে সাহায্য করে।