স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ নেতাদের কথা বলতেই কেন ছাত্র এবং বিএনপির সহ অন্য দলের বিক্ষোভ? এর মানে স্পষ্ট, আওয়ামী লীগ মানেই কি ছাত্র জনতা সহ বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ/বিরক্তি বা অসন্তোষ

ক্ষোভ কিঃ ক্ষোভ বলতে বোঝানোয়, মানুষের মনে যে বিরক্তি বা অসন্তোষ, বেদনা, মনস্তাপআন্দোলন, আলোড়ন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কিছু বক্তব্যের যুক্তি:

১. তাদের দল গুছানোর কতথা বলেছেন , কারণ বাংলাদেশের মানুষ এখনও জানে না তাদের অবস্থান। এখন তো বিচার করতে হবে, কিন্তু তারা না থাকলে দেশের মানুষের বিচার স্থগিত থাকবে। তাই জনগনের মুখমুখি দাড় করাতে চান তিনি।

২. দলকে গুছিয়ে নিতে: আওয়ামী লীগ নেতাদের সবাই পলাতক, আওয়ামী লীগ নেতাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বের করা।

৩. ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ : তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, যে তাদের কথাই শুনলে ছাত্র জনতা কতটা ভয়াবহ হতে পারে। কারণ তাদের মধ্যে অনেক ক্ষোভ রয়েছে, এই ক্ষোভ তাদের হত্যা করতে বাধা দিবে না।

 বিএনপি কিছু নেতারা পদত্যাগের দাবি করছেন, কিন্তু কেন?

আওয়ামী লীগ দল গুছানোর কতথা বলেছেন কারণ, আওয়ামী লীগ সরকার স্বৈরাচার এবং চাঁদা বাজের দল ছিলেন। আরো একটা কারন বাংলার মানুষ যখন আনন্দে আত্মহারা, ছাত্ররা যখন রাস্তা পাহারা দিচ্ছে, তখন দেখা গেছে কিছু নেতারা রাস্তায় চাঁদা তুলছে।

কেন বিএনপির নাম আসবে চাঁদা তোলার ক্ষেত্রে?

এর মানে কি বিএনপি চাঁদা বাজের দল?

যদি বিএনপির দলের কেউ না হয়, তাহলে তাদের মিডিয়ার সামনে এটি প্রমাণ করুন। যে বিএনপির নাম ব্যবহার করে এখন এসব করছে, তাদের পেলে শাস্তি দিন বা ছোট খাটো গন পিটানি দিন । তাদেকে মিডিয়ার সামনে নিয়ে আসেন, মুখোমুখি করেন। মনে রাখবেন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করবেন না। 

**আগামীতে বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজির জায়গা থাকবে না, এর দাবিতে তিনি বলেন: চাঁদাবাজি করলে পা ভেঙে দেবো, বেশিদিন করতে পারবেন না, ছাত্র জনতা সহ বাংলাদেশের মানুষ পা ভেঙে দেবে।**

চাঁদাবাজি এর অসুবিধা ও ভয়াবহতা

চাঁদাবাজি একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা বা অপরাধ এবং এর কিছু অসুবিধা ও ভয়াবহ দিক রয়েছে, যা সমাজে বিরাট নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে প্রধান কিছু বিষয় হলো:

  1. অর্থনৈতিক ক্ষতি: চাঁদাবাজি সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। অসৎ উপায়ে অর্থ আদায় করে নেওয়া হয়, যা সাধারণ মানুষের জীবনে আর্থিক চাপ এবং সংকট সৃষ্টি করে।
  2. আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ: চাঁদাবাজি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ করে। এটি আইনগত নিরাপত্তার অভাব সৃষ্টি করে এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা বাড়ায়।
  3. সামাজিক আস্থার ক্ষতি: চাঁদাবাজি সামাজিক আস্থার ক্ষতি করে। মানুষের মধ্যে অসন্তোষ এবং অবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়, যা সামাজিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা দুর্বল করে।
  4. অপরাধমূলক কার্যকলাপ: চাঁদাবাজি অনেক সময় অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এটি সমাজে অপরাধের বিস্তার বাড়ায় এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়ায়।
  5. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে প্রভাব: চাঁদাবাজির কারণে সাধারণ মানুষের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ কমে যায়। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পরিবারগুলো এই খাতে প্রয়োজনীয় খরচ করতে পারে না।
  6. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা হুমকি: যারা চাঁদাবাজির শিকার হন, তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে হুমকির মধ্যে পড়ে। তারা শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
  7. অবৈধ অর্থের প্রবাহ: চাঁদাবাজি সমাজে অবৈধ অর্থের প্রবাহ তৈরি করে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নষ্ট করে।
  8. নেতৃত্বের উপর নেতিবাচক প্রভাব: চাঁদাবাজি নেতাদের কর্তৃত্বের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দেয়।

চাঁদাবাজি একটি গুরুতর সমস্যা এবং এটি মোকাবেলা করতে শক্তিশালী আইনগত ব্যবস্থা ও সমাজের সকল স্তরের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।

**সে যে দলেরই হোক চাঁদাবাজির জায়গা নাই এই নতুন বাংলাদেশে।**

**এতে পরিষ্কার  জারাই এ ধরনের কাজে লিপ্ত থাকবে জনগণ তাদের সঙ্গে সঙ্গে বিচার করবে।**

রনি মিয়া