৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, আজ খুলছে আশুলিয়ার সকল পোশাক কারখানা। আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর কার্যক্রম আবার শুরু হতে যাচ্ছে। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় উদ্যোক্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি যৌথ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, আশুলিয়ার হা-মীম গ্রুপের দ্যটস ইট ফ্যাক্টরি অফিসে সেনাবাহিনী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও কারখানার মালিকদের মধ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে, আগামীকাল রোববার থেকে আশুলিয়ার সব পোশাক কারখানা পুনরায় খোলা হবে।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারীরা:
- সেনাবাহিনী
- ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ
- গোয়েন্দা সংস্থা
- কারখানার মালিকরা
সর্বশেষ সিদ্ধান্ত:
- ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , রোববার থেকে আশুলিয়ার সব পোশাক কারখানা পুনরায় খোলা হবে
বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বৈঠক করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্প এলাকায় নতুন করে এক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে, যার বড় অংশ থাকবে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে।
শনিবার সকাল থেকে শ্রমিক নেতারা কাজে ফিরে আসা শুরু করেন, ফলে পরিস্থিতি উন্নত হতে থাকে। দিনটি শেষে, আশুলিয়ায় অন্তত ৪৩টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল, কিন্তু গত কয়েক দিনের তুলনায় পরিস্থিতি অনেক উন্নত হয়েছে। কোনো বড় ধরনের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি এবং পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের যথেষ্ট উপস্থিতি ছিল।
বিজিএমইএর পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন বলেন, “আজ পরিস্থিতি অনেক উন্নত হয়েছে। যদিও কিছু কারখানা বন্ধ ছিল, কিন্তু কোন ধরনের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন এবং আগামীকাল থেকে পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে বলে আমরা আশা করি। শ্রমিকদের কোনো দাবি থাকলে তা যথাযথ আইন অনুযায়ী মেনে নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিকতার কারণে আমরা আশাবাদী যে দ্রুত সময়ের মধ্যে পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। আমাদের মূল দায়িত্ব হলো শ্রমিকদের অভিযোগ শোনা এবং তাদের সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দেশের শিল্পখাতে চলমান অস্থিরতা শিগগিরই কেটে যাবে। আমরা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে।”
শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আশিকুর রহমান তুহিন আরও জানান, “রাজনীতির সাথে কোনো ধরনের ইন্ধনের বিষয় আমরা দেখছি না। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল আমাদের সহযোগিতা করছে এবং ইন্ধনদাতাদের খুঁজে দেখা হচ্ছে।”
আজকের পরিস্থিতি থেকে স্পষ্ট হচ্ছে যে, আশুলিয়ার তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর কার্যক্রম পুনরায় শুরু হতে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। শ্রমিকরা কাজে ফিরছেন এবং প্রশাসন সঠিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে।