যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সম্প্রতি একটি হাস্যকর মুহূর্তের কথা শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি ‘শেখ হাসিনার পুকুরে’ মাছ ধরতে পারেননি। তিনি ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি গণভবনের পুকুরপাড়ে বসে আছেন। তার সঙ্গে ছিলেন আরেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

ছবির ক্যাপশনে আসিফ লিখেছেন, “এক দুপুরে, হাসিনার পুকুরে…।” এরপর তিনি মন্তব্য করেছেন, “বি. দ্র. : বড়শি না থাকায় মাছ ধরতে পারিনি।” এভাবে তিনি একটি মজার পন্থায় পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।

পোস্টের কমেন্টে তিনি আবারও উল্লেখ করেছেন, “ক্যাপশনের মাস্টারমাইন্ড মাহফুজ আলম।” এর মাধ্যমে তিনি তার বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আরো মজার করে তুলেছেন।

শেখ হাসিনা, যিনি টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় রয়েছেন, গণভবনের মাঠে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করেছেন এবং মাছ ধরার ব্যাপারেও একাধিকবার আলোচনায় এসেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একবার হাসিনার মাছ ধরার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। আসিফের পোস্টটি সম্ভবত সেই ছবির প্রতি ইঙ্গিত করে, যেখানে তিনি ‘মাছ ধরতে না পারার’ পরিহাস করেছেন।

এদিকে, গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের প্রায় তিন মাস পর সোমবার গণভবন পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মো. ইউনূস। তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গণভবন পরিদর্শনের সময় পুকুর পাড়ে ছবিটি তোলা হয়।

শেখ হাসিনার পতনের পর, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ‘গণভবন’কে দ্রুত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশ অনুযায়ী, উপদেষ্টাদের জাদুঘর বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে।

এভাবে, আসিফ মাহমুদ সজীবের পোস্টে আমরা শুধু একটি হাস্যকর মুহূর্তই দেখতে পাইনি, বরং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটি আলাদা দিকও প্রতিফলিত হয়েছে। গণভবনের পুকুরে মাছ ধরার মতো সাধারণ বিষয়ও কিভাবে রাজনৈতিক কথাবার্তার অংশ হয়ে উঠছে, সেটি উল্লেখযোগ্য।

এখন দেখা যাক, ভবিষ্যতে এই পুকুরের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস কিভাবে যুক্ত হবে এবং কিভাবে নতুন স্মৃতি তৈরি হবে।