বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭১, ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধকোটি মানুষ

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ১১টি জেলা বন্যার কবলে রয়েছে, এবং বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭১ জনে পৌঁছেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত নতুন করে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

নতুন প্রাণহানির খবরের মধ্যে ফেনী ও কুমিল্লা জেলায় চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে। এ পর্যন্ত, কুমিল্লায় ১৯ জন, চট্টগ্রামে ৬ জন, ফেনীতে ২৮ জন, নোয়াখালীতে ৯ জন, কক্সবাজারে ৩ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার ও লক্ষ্মীপুরে ১ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন।

মৃতদের মধ্যে ৪৫ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ১৯ জন শিশু রয়েছে। বন্যার কারণে ৬৮টি উপজেলার ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৫৫টি পরিবার পানিবন্দি পড়েছে। ১১টি জেলার ৫০৪টি পৌরসভা বা ইউনিয়নে ৫০ লাখ ২৪ হাজার ২০২ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৬ জন আশ্রয় নিয়েছেন এবং ৩১ হাজার ২০৩টি গৃহপালিত পশু রাখা হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় মোট ৪৬৯টি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।

প্রধানমন্ত্রী অফিস ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বন্যার পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, সাথে ২০ হাজার ৬৫০ টন চাল, ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য বাবদ ৩৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুর জেলার পরিস্থিতি এখনো উন্নতির অপেক্ষায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানি কমার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

 

কিছু প্রশ্ন এবং উওর:

১. বন্যার কারণে কতজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে?

৭১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

২. বন্যায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কোথায় হয়েছে?

ফেনী জেলায় সবচেয়ে বেশি ২৬ জন মারা গেছেন।

৩. কতোটি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে?

৫ লাখ ৮২ হাজার ১৫৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।

৪. বন্যাকবলিত এলাকায় কতটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রয়েছে?

৩ হাজার ৬১২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রয়েছে।

৫. বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা কত?

৫০ লাখ ২৪ হাজার ২০২ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

৬. মেডিকেল টিমের সংখ্যা কত?

৪৬৯টি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।

৭. ত্রাণ কার্যক্রমে কি কি সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে?

চাল, শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, গো-খাদ্য এবং অর্থ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

৮. কোন জেলা গুলোর বন্যার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে?

চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কক্সবাজারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

৯. বন্যার পানি কমার পূর্বাভাস কী?

পানি ধীরগতিতে কমছে, পুরোপুরি নেমে যেতে আরও কিছুদিন লাগবে।

১০. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কি ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে?

ত্রাণ বিতরণ, চিকিৎসা সেবা, এবং আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা নিচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।