বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ভুটানকে ৭-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে। আমাদের দল, যাদের কোচ পিটার জেমস বাটলার, তারা টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জেতার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে নেপাল অথবা ভারত, যারা দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে।

৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে ফাইনাল ম্যাচটি দশরথ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ প্রথমে ভারতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে ৩-১ গোলে জয়লাভ করে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে। এই ফলাফলগুলোর জন্য বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল।

রোববার দুপুরে কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথমার্ধেই ৫-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে যায়। বাংলাদেশ ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই প্রথম গোল করে। ঋতুপর্ণা চাকমা বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শট করে গোল করেন।

এরপর ম্যাচের ১৫ মিনিটে তহুরা খাতুন দ্বিতীয় গোল করেন। তিনি বক্সের বাইরে থেকে ভাসানো শটে জাল খুঁজে পান। ২৬ মিনিটে দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন তৃতীয় গোলটি করেন। এইভাবে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

ম্যাচের ৩৫ মিনিটে তহুরা খাতুন আবারও গোল করে দলের চতুর্থ গোলটি করেন। ৩৭ মিনিটে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন দলের পঞ্চম গোলটি করেন। এইভাবে প্রথমার্ধে বাংলাদেশের ৫-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে বিরতিতে যায়।

প্রথমার্ধের শেষে ভুটান ৪১ মিনিটে একটি গোল শোধ করে। ডেকি লাজোমের শটের মাধ্যমে ভুটান একটি গোল করে। বিরতির পর, বাংলাদেশের দল ৫৮ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে তহুরা খাতুন। দুর্দান্ত পাসিংয়ে সাজানো গোলের মাধ্যমে তহুরা আবারও গোল করেন।

৭২ মিনিটে মাসুরা পারভীন দলের জন্য সাতটি গোল নিশ্চিত করেন। সানজিদা আক্তারের কর্নার থেকে ভাসানো বলটি মাসুরার মাথায় লাগে এবং গোলটি আসে। এরপর বাংলাদেশ পুরো ম্যাচের মধ্যে ব্যবধান ধরে রেখে ফাইনালের মঞ্চে চলে যায়।

বাংলাদেশের মেয়েদের এই অসাধারণ পারফরম্যান্স শুধু আমাদের গর্বিত করে না, বরং দেশের ফুটবলের উন্নতি এবং মেয়েদের ফুটবলের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। আমাদের দলের খেলোয়াড়রা একত্রিত হয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং তাদের উদ্দেশ্য শুধু জয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়া। আশা করা যাচ্ছে, ফাইনালে বাংলাদেশ তাদের সেরা খেলাটা উপহার দেবে এবং শিরোপা জয়ের জন্য লড়াই করবে।

ম্যাচের পর আমাদের দলের জন্য সবার সমর্থন প্রয়োজন। আসুন, আমরা সবাই একত্রিত হয়ে আমাদের মেয়েদের সমর্থন করি। তারা আমাদের গর্ব, এবং তারা দেখিয়েছে যে তারা যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত। এবার আমাদের উচিত তাদের সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করা এবং ফাইনালে তাদেরকে সমর্থন দেওয়া।

মেয়েদের ফুটবল এখন আমাদের দেশে আরও জনপ্রিয় হচ্ছে। আশা করি, আগামী দিনে আরো অনেক মেয়েরা ফুটবলে আগ্রহী হয়ে উঠবে এবং তারা আমাদের দেশের জন্য গৌরব অর্জন করবে। বাংলাদেশ ফুটবলে মেয়েদের এই উন্নতি ভবিষ্যতের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত। আমরা আশা করি, তারা সাফল্যের সোপানে আরোহণ করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।

তাহলে, আসুন সবাই মিলে বাংলাদেশ ফুটবল দলের মেয়েদের সমর্থন করি। আমাদের সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। ফাইনালের দিন আমাদের সবার উচিত মাঠে গিয়ে তাদের উৎসাহিত করা। তারা আমাদের গর্বের প্রতীক এবং আমরা তাদের প্রতি ভালোবাসা এবং সমর্থন জানাই।