বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আগামী ডিসেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে। এই টুর্নামেন্টের জন্য সোমবার প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ড্রাফটে মোট ১৮৮ জন স্থানীয় ক্রিকেটার এবং ৪৪০ জন বিদেশি ক্রিকেটার অংশ নিয়েছেন। স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকেই দলের বাইরে রয়ে গেছেন, যা কিছুটা অপ্রত্যাশিত।

রিটেইনড ক্রিকেটার (পুরাতন ৪ ফ্র্যাঞ্চাইজের জন্য প্রযোজ্য)

ফ্র্যাঞ্চাইজির নামক্রিকেটারের নামদাম (লাখ টাকা)
ফরচুন বরিশালতামিম ইকবাল60
মুশফিকুর রহিম60
সিলেট স্ট্রাইকার্সতানজিম হাসান সাকিব40
জাকির হাসান25
খুলনা টাইগার্সনাসুম আহমেদ25
আফিফ হোসেন40
রংপুর রাইডার্সনুরুল হাসান সোহান40
শেখ মেহেদী হাসান40

ডিরেক্ট সাইনিংয়ে দল পাওয়া ক্রিকেটার (বাংলাদেশি)

ফ্র্যাঞ্চাইজির নামক্রিকেটারের নামদাম (লাখ টাকা)
ঢাকা ক্যাপিটালসমুস্তাফিজুর রহমান60
তানজিদ হাসান তামিম40
চিটাগাং কিংসসাকিব আল হাসান60
শরিফুল ইসলাম60
ফরচুন বরিশালতাওহীদ হৃদয়60
সিলেট স্ট্রাইকার্সজাকের আলি অনিক40
খুলনা টাইগার্সমেহেদী হাসান মিরাজ60
রংপুর রাইডার্সমোহাম্মদ সাইফউদ্দিন25
দুর্বার রাজশাহীএনামুল হক বিজয়40
জিশান আলম20

বিদেশি ক্রিকেটার (ডিরেক্ট সাইনিংয়ে)

ফ্র্যাঞ্চাইজির নামক্রিকেটারের নামদেশ
চিটাগাং কিংসমইন আলিইংল্যান্ড
উসমান খানপাকিস্তান
হায়দার আলিপাকিস্তান
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসশ্রীলঙ্কা
মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রপাকিস্তান
বিনুরা ফার্নান্দোশ্রীলঙ্কা

অন্যান্য তথ্য

ফ্র্যাঞ্চাইজির নামক্রিকেটারের নামবিশেষ দ্রষ্টব্য
রংপুর রাইডার্সঅ্যালেক্স হেলসটি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ইংলিশ তারকা

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মুমিনুল হক, রুবেল ইসলাম, নাজমুল হোসেন অপু ও শুভাগত হোমের মতো কিছু তারকা ক্রিকেটার ড্রাফটে অবিক্রিত রয়ে গেছেন। মোসাদ্দেক বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে অনেক ম্যাচ খেলেছেন এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত। তবে এই বিপিএলে তাকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।

মুমিনুল হক টেস্ট ক্রিকেটে দলের অধিনায়ক ছিলেন এবং লাল বলের ক্রিকেটে তিনি এখনো গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি ভারত সিরিজে তার একটি সেঞ্চুরিও রয়েছে। কিন্তু তার এই দক্ষতা বিপিএলে দলের জন্য কাজে লাগেনি। বিশেষ করে, তাকে টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে দেখা হয়।

রুবেল হোসেন এক সময় জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন, কিন্তু বর্তমানে তিনি জাতীয় দলের বাইরে। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেললেও বিপিএলে দলে স্থান পাননি। নাজমুল হোসেন অপু এবং শুভাগত হোমও দলে জায়গা পাননি, যদিও তারা বাংলাদেশে কার্যকরী স্পিনার হিসেবে পরিচিত।

ড্রাফট শেষে অবিক্রিত খেলোয়াড়দের জন্য সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়নি। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এখনো তাদের দলে নিতে পারে। বিপিএলের আয়োজন নিয়ে বেশ উত্তেজনা রয়েছে। টুর্নামেন্টটি রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং এটি ১১তম আসর।

এবারের বিপিএল সাতটি দলের অংশগ্রহণে হবে। নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো হলো ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগাং কিংস এবং দুর্বার রাজশাহী। চিটাগাং কিংস আগের আসরে অংশ নিয়েছিল, কিন্তু ঢাকা ক্যাপিটালস এবং দুর্বার রাজশাহী নতুন। পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স, সিলেট স্ট্রাইকার্স ও রংপুর রাইডার্স দুজন করে ক্রিকেটার ধরে রেখেছে।

চিটাগাং কিংস সরাসরি সাইনিংয়ের মাধ্যমে সাকিব আল হাসান ও শরিফুল ইসলামসহ মোট ছয় বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে। ফরচুন বরিশাল তাদের দলে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমকে ধরে রেখেছে, যা ৬০ লাখ টাকায় হয়েছে। সিলেট স্ট্রাইকার্স তানজিম হাসান সাকিব ও জাকির হাসানকে দলে রেখেছে।

এছাড়া, অনেক ক্রিকেটার সরাসরি সাইনিংয়ের মাধ্যমে দলে যুক্ত হয়েছেন। ঢাকা ক্যাপিটালস মুস্তাফিজুর রহমান ও তানজিদ হাসান তামিমকে দলে নিয়েছে। রংপুর রাইডার্স মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এবং এনামুল হক বিজয়কে সরাসরি দলে নিয়েছে।

চিটাগাং কিংস বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মইন আলি, উসমান খান, হায়দার আলি, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ও বিনুরা ফার্নান্দোকে দলে নিয়েছে।

রিশাদ হোসেন, যিনি জাতীয় দলের তরুণ অলরাউন্ডার, অবশেষে বিপিএলের ড্রাফটে দল পেয়েছেন। তিনি ফরচুন বরিশালে যোগ দিয়েছেন। রিশাদ তার প্রতিভার ছাপ রেখেছেন এবং এবার বিপিএলে নিজের সেরাটা দিতে চান।

এর আগে, রিশাদ জাতীয় দলে নিয়মিত মুখ ছিলেন এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার পারফরম্যান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল না। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে তিনি খারাপ পারফরম্যান্স দেন।

এবার রিশাদ নতুন করে শুরু করতে চান এবং জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলে তার পারফরম্যান্সের মান উন্নয়নের সুযোগ পেতে চান।

এভাবে, বিপিএল ২০২৪-২৫-এর আসর শুরু হতে যাচ্ছে এবং আমরা আশা করি সব ক্রিকেটপ্রেমীরা এই টুর্নামেন্ট উপভোগ করবেন।