জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি চালের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক কমানোর পাশাপাশি আগাম করও প্রত্যাহার করেছে। এটি দেশের সাধারণ মানুষের জন্য খুবই ভালো খবর। ২০ অক্টোবর রোববার এনবিআর এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চালের ওপর যে আমদানি শুল্ক ছিল, তা ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। একইভাবে, রেগুলেটরি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া, ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে, আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম ১৪.৪০ টাকা কমবে।

এনবিআরের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। এটি দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং চালের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। আমাদের দেশে খাদ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই, এনবিআরের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

এনবিআর আরও জানায়, চালের ওপর আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক কমানো এবং আগাম কর প্রত্যাহার করার মাধ্যমে তারা দেশের সাধারণ মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। এটি নিশ্চিত করবে যে, চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে এবং সাধারণ মানুষ সহজেই চাল কিনতে পারবে।

আমরা জানি, খাদ্য নিরাপত্তা আমাদের জন্য কতটা জরুরি। যখন খাদ্যের দাম বাড়ে, তখন সাধারণ মানুষের জন্য এটি কঠিন হয়ে পড়ে। তাই, এনবিআরের এই পদক্ষেপ আমাদের সকলের জন্য স্বস্তির খবর। এটি দেশের অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক কমানো হলে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়বে, যা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে, যা দাম কমাতে সহায়ক হবে।

এই পরিবর্তনগুলো চালু হলে, আমরা আশা করি যে দেশের কৃষকরা এবং ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্তের সুফল পাবেন। বাজারে চালের দাম যখন কমে যাবে, তখন তা কৃষকদের জন্যও ভালো হবে, কারণ তারা সহজেই তাদের উৎপাদিত চাল বিক্রি করতে পারবেন।

এই সকল কারণে, আমরা এনবিআরের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারব। আশা করি, এই পদক্ষেপগুলো সফল হবে এবং দেশের মানুষের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে।

এনবিআরের এই উদ্যোগ দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। এটি শুধু এককভাবে চালের ওপর প্রভাব ফেলা নয়, বরং পুরো খাদ্য ব্যবস্থা ও বাজার ব্যবস্থার ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এখন দেশের মানুষের এই পরিবর্তনের সুফল পেতে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে, সেটাই দেখতে হবে। আমরা আশা করি, শীঘ্রই চালের দাম কমবে এবং বাজারে খাদ্যের সরবরাহ বাড়বে।

চাল আমাদের অন্যতম প্রধান খাদ্য। তাই, এনবিআরের এই উদ্যোগ দেশের জনগণের জন্য এক আশার আলো নিয়ে এসেছে। আমরা সবাই এই পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছি, যাতে আমরা সহজেই আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য পেতে পারি।

শুভ কামনা এনবিআরকে, তাদের এই পদক্ষেপ সফল হোক এবং দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।