চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

চুলকানি, আমাদের ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা, কিন্তু যখন এটি অসহ্য হয়ে ওঠে, তখন তা বিরক্তিকর হয়ে যায়। গরম আবহাওয়ার কারণে বা ত্বকের শুষ্কতার কারণে অনেকেরই এই সমস্যা হয়। আমরা অনেকেই নানা ধরনের ক্রিম ও মলম ব্যবহার করি, কিন্তু সেগুলো সবসময় কার্যকর হয় না এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। তাই, ঘরোয়া উপায়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আজ আমরা আলোচনা করব কিছু সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়ের সম্পর্কে, যা আপনাকে ত্বকের চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে।

চুলকানি কি এবং কেন হয়?

চুলকানি, বা ত্বকে অস্বস্তিকর অনুভূতি, আমাদের অনেকের জন্য একটি সাধারণ সমস্যা। এটি সাধারণত শুষ্ক ত্বক, অ্যালার্জি, বা কিছু ত্বকের রোগের কারণে হয়। গরম আবহাওয়ায় বা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে এটি বৃদ্ধি পায়। অনেকেই বিভিন্ন ওষুধ বা ক্রিম ব্যবহার করেন, কিন্তু সেগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই, ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক উপায়গুলো ব্যবহার করাই উত্তম।

চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন

এখন চলুন জেনে নিই কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায়, যা ত্বকের চুলকানি কমাতে সাহায্য করবে।

১. লেবু

লেবুর রসে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। আপনি যদি চুলকানি অনুভব করেন, তাহলে লেবুর রস লাগাতে পারেন। এটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে শুকিয়ে ফেলুন। কিছু সময়ের মধ্যে চুলকানি কমে যাবে।

২. তুলসী পাতা

তুলসী পাতায় ইউজেনল থাকে, যা চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। এক মগ ফুটন্ত পানিতে ১৫-২০টি তুলসী পাতা জ্বালিয়ে তার নির্যাস বের করে নিন। তারপর একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ওই পানি চুলকানির স্থানে লাগিয়ে দিন।

৩. পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। ফুটন্ত পানিতে কিছু পুদিনা পাতা জ্বালিয়ে তার পানি লাগালে চুলকানি কমে যায়।

৪. অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি চুলকানির জন্যও কার্যকর। তাজা অ্যালোভেরা পাতার রস লাগান এবং কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন। এটি ত্বকের প্রশান্তি দেবে।

৫. বেকিং সোডা

বেকিং সোডা ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। গোসলের পানিতে কিছু বেকিং সোডা মেশালে চুলকানি কমে যায়।

৬. ওটমিল

ওটমিলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। গোসলের পানিতে কিছু ওটমিল মিশিয়ে ২০ মিনিট রেখে গোসল করুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন।

৭. জলপাই তেল

জলপাই তেল ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এটি চুলকানি কমাতে সহায়ক।

৮. শীতল কম্প্রেস

ঠান্ডা জল দিয়ে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে চুলকানির স্থানে প্রয়োগ করুন। এটি প্রদাহ কমাতে এবং আরাম দিতে সহায়তা করে।

চুলকানির প্রতিরোধ

কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে চুলকানি প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেমন:

  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
  • শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করুন।
  • অ্যালার্জির কারণগুলি এড়িয়ে চলুন।
  • সুতির জামা পরিধান করুন।

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন

যদি ঘরোয়া উপায়গুলো প্রয়োগ করার পরেও চুলকানি কমে না যায়, তাহলে বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ এটি কোনো বড় সমস্যার চিহ্ন হতে পারে।

শেষ কথা

চুলকানি একটি বিরক্তিকর সমস্যা, তবে ঘরোয়া উপায়গুলো ব্যবহার করে আপনি সহজেই এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন। প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ব্যবহার করে সঠিক যত্ন নিন এবং সুস্থ থাকুন।

বাংলা নিউজ বিডি হাব/ রনি মিয়া

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।