সম্প্রতি কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নে যৌথ বাহিনীর একটি সাফল্যমণ্ডিত অভিযানে আটজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অভিযানটি ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে পরিচালিত হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন:
- কলিম উল্লাহ (৩৪), মৃত কবির আহমেদের ছেলে
- মো. খোরশেদ আলম (৩৭), মৃত ফোরকান আহমেদের ছেলে
- মো. হাসান শরীফ লাদেন (২০), মো. শফিউল্লাহর ছেলে
- মো. শাহিন (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে
- মো. মিজান (২০), মাহাবুল্লাহর ছেলে
- আব্দুল মালেক (৪৮), মৃত কবির আহমেদের ছেলে
- আব্দুল হাই (২৪), মাহমুদুল হকের ছেলে
- আব্দুল আজিজ (২৫)
এই অভিযানে কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মালেক এবং ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক কলিম উল্লাহও রয়েছে, যা স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অভিযানের বিস্তারিত
যৌথ বাহিনীর এই অভিযানটি কক্সবাজারের পিএমখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকায় পরিচালিত হয়। ১০ পদাতিক ডিভিশনের ২ পদাতিক ব্রিগেডের অধীনে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ টিম এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের আগে গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাইজপাড়া এলাকার দুটি বাড়ি ঘেরাও করা হয়।
বাড়ি দুটি তল্লাশি করে প্রাপ্ত অস্ত্র এবং গোলাবারুদ:
- ৩টি এক নলা বন্দুক
- ২টি এলজি পিস্তল
- ২টি ৯ এমএম পিস্তল
- ৩টি পিস্তল ম্যাগাজিন
- ৪৮ রাউন্ড পিস্তল এমো
- ৩৯টি কার্তুজ
- ৫টি দা
- ১টি চেইন
- ১টি চাইনিজ কুড়াল
- ২টি কিরিচ
অপরাধের বিবরণ
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা বিগত কয়েক বছর ধরে কক্সবাজার এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অস্ত্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো এবং আধিপত্য বিস্তারকারী সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তাদের অপরাধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সেচ পাম্প নিয়ে বিরোধের জেরে ২০২২ সালের রমজান মাসে প্রবাসী মোর্শেদ বলীকে নির্মমভাবে হত্যা করা।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
যৌথ বাহিনীর এই অভিযান সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় জনগণ এই অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বর্তমানে তাদের আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে। আইনগত পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা কি ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হবে, তা ভবিষ্যতে জানা যাবে।