নাসা খুঁজে পেল এক প্রাচীন বস্তু: গ্যালাক্সির বাইরে চলে যাচ্ছে

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

নাসার সিটিজেন সায়েন্টিস্টরা একটি অবাক করা আবিষ্কার করেছেন, যা আমাদের গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ে থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। এই বস্তুর নাম CWISE J1249 এবং এটি প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১ মিলিয়ন মাইল গতিতে চলেছে। নাসার “ব্যাকইয়ার্ড ওয়ার্ল্ডস: প্ল্যানেট ৯” প্রকল্পের মাধ্যমে এই প্রাচীন বস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে।

প্রাচীন বস্তু CWISE J1249

CWISE J1249 একটি রহস্যময় বস্তু, যা সম্ভবত একটি তারা বা ব্রাউন ডোয়ার্ফ। এর ভর কম হওয়ার কারণে, একে সঠিকভাবে তারা বা ব্রাউন ডোয়ার্ফ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা কঠিন। ব্রাউন ডোয়ার্ফগুলি সেসব বস্তু যা না পুরোপুরি গ্রহ এবং না পুরোপুরি তারা। এদের ভর এত কম যে তারা হাইড্রোজেন ফিউশন করতে পারে না, যা আসল তারার বৈশিষ্ট্য।

সিটিজেন সায়েন্টিস্টদের অবদান

এই আবিষ্কারের পেছনে নাসার সিটিজেন সায়েন্টিস্টদের বড় ভূমিকা রয়েছে। মার্টিন কাবাটনিক, থমাস বিকল, এবং ড্যান ক্যাসেলডেন নামে তিনজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী মিলে এই বস্তুটি খুঁজে বের করেছেন। তারা NASA-এর Wide-field Infrared Survey Explorer (WISE) মিশনের ডেটা ব্যবহার করেছেন, যা ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আকাশের ইনফ্রারেড লাইটে সার্ভে করেছিল।

বস্তুর গতি এবং প্রভাব

CWISE J1249 এর গতির কারণে এটি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির গ্র্যাভিটেশনাল পুল থেকে বেরিয়ে যাবে এবং ইন্টারগ্যালাক্টিক স্পেসে চলে যাবে। এই গতির কারণে এটি একটি বিরল সুযোগ তৈরি করেছে, যা বিজ্ঞানীদের জন্য প্রাচীন এবং কম ভরের বস্তুগুলি অধ্যয়ন করার সুযোগ এনে দেবে।

ইনফ্রারেড অ্যাস্ট্রোনমির গুরুত্ব

এই আবিষ্কারের মাধ্যমে ইনফ্রারেড অ্যাস্ট্রোনমির গুরুত্ব আবারও প্রমাণিত হয়েছে। WISE মিশনের মাধ্যমে, এমন বস্তুগুলি দেখা যায় যা সাধারণভাবে দৃশ্যমান নয়। ইনফ্রারেড পর্যবেক্ষণ বিশেষভাবে দরকারি, কারণ এটি ঠান্ডা এবং ম্লান বস্তুগুলিকে দেখতে সাহায্য করে।

সিটিজেন সায়েন্টিস্টদের ভবিষ্যৎ

এই আবিষ্কার সিটিজেন সায়েন্টিস্টদের ভবিষ্যত বিজ্ঞান প্রকল্পগুলির জন্য একটি প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। এটি দেখিয়ে দেয় যে, পেশাদার বিজ্ঞানীদের সঙ্গে জনসাধারণের অংশগ্রহণও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

নাসার সিটিজেন সায়েন্টিস্টদের সাহায্যে CWISE J1249 এর আবিষ্কার আমাদের গ্যালাক্সির প্রাচীন বস্তুগুলি সম্পর্কে নতুন তথ্য দিচ্ছে। এই আবিষ্কারটি শুধু আমাদের মহাবিশ্বের আরো গভীরে যাওয়ার সুযোগ নয়, বরং জনসাধারণের অংশগ্রহণের শক্তিরও প্রমাণ। আগামী দিনে আরও নতুন নতুন আবিষ্কার ও গবেষণার অপেক্ষায় থাকব।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।