আজ আমরা জানব, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা কেন গ্রেপ্তার হলেন। সম্প্রতি, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার রাতে রাজধানী ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের বিরুদ্ধে কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে, সোনা এবং হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে সোনা ও হীরা আমদানির নামে অর্থপাচার, প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগ করছে।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে সোনা ও হীরা আমদানির অভিযোগে অভিযুক্ত। তাঁকে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, তিনি বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শো-রুমের মাধ্যমে প্রকৃত ডায়মন্ডের বদলে উন্নতমানের কাচের টুকরো ডায়মন্ড হিসেবে বিক্রি করেছেন। এছাড়া, দুবাই ও সিঙ্গাপুরে সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেছেন এবং ভারতের কলকাতায় তিনটি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাড়ি, মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এছাড়া, বিভিন্নভাবে প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবৈধভাবে একটি ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিআইডি ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মানি লন্ডারিং আইনে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়াল, যিনি গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে হেরেছিলেন, এখন তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন।

সাম্প্রতিককালে, রাজধানীর বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটি গত ২৩ আগস্ট রুজু করা হয় এবং তিনি মামলার ২০ নং আসামি।

র‍্যাবের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিলীপ কুমার আগরওয়ালার গুলশানের অফিসে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন নথিপত্র ও প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেছেন, অভিযানের বিস্তারিত পরে জানানো হবে।