ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। লিটারে ৫০ পয়সা করে কমিয়ে ডিজেল ও কেরোসিনের নতুন দাম হয়েছে ১০৫ টাকা। তবে পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন দাম ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
গত মার্চ থেকে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি মাসে নির্ধারণ করছে। অক্টোবর মাসে দাম পরিবর্তন হয়নি, কিন্তু এবার সরকার নতুন দাম ঘোষণা করেছে।
জ্বালানির নাম | পুরানো দাম (প্রতি লিটার) | নতুন দাম (প্রতি লিটার) | কমেছে |
---|---|---|---|
ডিজেল | ১০৫.৫০ টাকা | ১০৫.০০ টাকা | ০.৫০ টাকা |
কেরোসিন | ১০৫.৫০ টাকা | ১০৫.০০ টাকা | ০.৫০ টাকা |
পেট্রোল | ১২৫.০০ টাকা | ১২৫.০০ টাকা | – |
অকটেন | ১২১.০০ টাকা | ১২১.০০ টাকা | – |
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ছিল ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা, যা এখন কমিয়ে ১০৫ টাকা করা হয়েছে। অন্যদিকে, পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা এবং অকটেনের দাম ১২১ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা বছরে প্রায় ৭৫ লাখ টন। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশই ডিজেলের জন্য ব্যবহার হয়। বাকি ২৫ শতাংশ পেট্রল, অকটেন, কেরোসিন, জেট ফুয়েল ও ফার্নেস অয়েলের জন্য। ডিজেল সাধারণত কৃষি, পরিবহন ও জেনারেটরে ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করে থাকে। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও উন্নত বিশ্বেও প্রতি মাসে জ্বালানির দাম নির্ধারণ করা হয়।
এখন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হলেও পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত থাকায়, জনগণ কিছুটা উপকার পাবে। কিন্তু, বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ প্রয়োজন।
একজন ভোক্তা হিসেবে, আমি এই পরিবর্তনগুলোকে স্বাগত জানাই। জ্বালানির দাম কমানো হলে পরিবহন খরচও কমে যাবে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছুটা স্বস্তি এনে দেবে।
বিভিন্ন খাতে ডিজেল ব্যবহৃত হয়, তাই কৃষক ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে। তারা তাদের উৎপাদন খরচ কমাতে পারবে, যা শেষ পর্যন্ত গ্রাহকদের জন্যও উপকারি হবে।
শুধু ডিজেল ও কেরোসিন নয়, আমাদের আরও সচেতন থাকতে হবে পেট্রোল ও অকটেনের দাম নিয়েও। কেননা, দেশের অর্থনীতিতে জ্বালানি তেলের দাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের সরকারকে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মাধ্যমে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা হবে।
আমাদের উচিত সরকারের উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করা এবং সচেতন থাকা। আশা করি, সরকার ভবিষ্যতে আরো ভালো পদক্ষেপ নেবে এবং আমরা সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় তথ্য পাব।
বর্তমানে বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম ওঠানামা করছে। তাই আমাদের সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ করা হয়।
জ্বালানি খাতে নিয়মিত পরিবর্তনের ফলে আমাদের জীবনযাত্রায় যে প্রভাব পড়ে, সেটি আমাদের প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই, সরকার আমাদের পাশে থাকুক এবং এই খাতে স্বচ্ছতা নিয়ে আসুক।
নতুন দামে দেশের সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে বলেই আশা করছি।
সবশেষে, আমাদের প্রত্যেকের উচিত সচেতন থাকা এবং সরকারের সিদ্ধান্তগুলোর বিষয়ে খোঁজখবর রাখা। আমরা চাই দেশ এগিয়ে যাক এবং জনগণের জন্য সবসময় ভালো কিছু ঘটে।
বাংলা নিউজ বিডি হাব/ জান্নাতুল ফেরদৌস মিরা