প্রতি মাসের শুরুতে আমরা এলপিজির দাম পরিবর্তনের খবর শুনি। এলপিজি বা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস আমাদের রান্নাঘরের একটি অপরিহার্য অংশ। চলতি মাসের জন্য নতুন দাম ঘোষণা করা হয়েছে। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে এখন ১ হাজার ৪৫৫ টাকা হয়েছে। আগের মাসে এর দাম ছিল ১ হাজার ৪২১ টাকা, যা বেশ কিছুটা বৃদ্ধি।
এলপিজির নতুন দাম ২০২৪
সিলিন্ডারের প্রকার | আগের দাম (টাকা) | নতুন দাম (টাকা) | দাম বৃদ্ধি (টাকা) |
---|---|---|---|
১২ কেজি | ১,৪২১ | ১,৪৫৫ | ৩৫ |
১৯ কেজি | ১,৮০২.৫০ | ১,৮৫০.৫০ | ৪৮ |
৫ কেজি | – | – | ১২ |
৪৭.৫ কেজি | – | – | ১২০ |
এলপিজির নতুন দাম কিভাবে নির্ধারণ হয়?
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। তারা বাজারের পরিস্থিতি দেখে এবং বিভিন্ন উপাদান মূল্য বৃদ্ধির বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে নতুন দাম ঠিক করে। এ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৫ টাকা বেড়ে নতুন দাম ১ হাজার ৪৫৫ টাকা হয়েছে।
এলপিজির দাম জানার জন্য আমাদের জন্য এই তথ্য জানা গুরুত্বপূর্ণ। গত মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ৪২১ টাকা এবং তার আগের মাসে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা ছিল। এই পরিবর্তন আমাদের পরিবারের বাজেটের ওপর প্রভাব ফেলে।
দাম বৃদ্ধির কারণ
এই দাম বৃদ্ধি বিভিন্ন কারণে ঘটে। বাজারের অবস্থার ওপর অনেক সময় ভোক্তাদের চাহিদা এবং সরবরাহের বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে, আমাদের রান্নার খরচ বাড়ে। তবে, দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চাপও বাড়ে।
নতুন ঘোষণায় বলা হয়েছে, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি কেজির মূল্য ১২১ টাকা ৩২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা এলপিজির দাম প্রতি কেজি ১১৭ টাকা ৪৯ পয়সা।
গ্যাসের দাম এবং আমাদের জীবন
গ্যাসের দাম বাড়লে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আসে। আমরা সবাই জানি, রান্নাঘরে গ্যাস ছাড়া কাজ করা কঠিন। বিশেষ করে, যখন আমরা বড় বড় অনুষ্ঠান করি বা অতিথি আসলে রান্না করতে হয়।
এখন ভিন্ন ভিন্ন খাবারের দামও বেড়ে যেতে পারে। যেমন, রেস্তোরাঁয় গেলে খাবারের দাম বেড়ে যেতে পারে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে রেস্তোরাঁ ও ক্যাটারিং সার্ভিসের ব্যবসায়ীরা এই বাড়তি খরচ পূরণ করার জন্য খাবারের দাম বাড়াতে বাধ্য হন।
উৎসবের সময়ে দাম বৃদ্ধির প্রভাব
আমাদের দেশে বিভিন্ন উৎসবের সময় খাবারের জন্য বাইরে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে, এখন গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের উপর চাপ বাড়বে। উৎসবের সময় খাবার কিনতে বেশি খরচ হবে।
এছাড়া, লোকসভা নির্বাচনের সময়ে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম কমানো হয়েছিল, তবে নির্বাচনের পর দাম ফের বেড়েছে। গত তিন মাসে ১৯ কেজি বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম সব মিলিয়ে ৯৪ টাকা বেড়েছে।
আমাদের কি করা উচিত?
এখন আমাদের উচিত বাজেটের পরিকল্পনা করা। গ্যাসের দাম বাড়লে আমাদের খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রান্নার জন্য আরও কিছু বিকল্প পদ্ধতি বিবেচনা করতে হবে। এছাড়া, প্রয়োজন ছাড়া বেশি রান্না না করে খরচ কমানো যায়।
এলপিজির দাম বৃদ্ধি আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমাদের উচিত এটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা এবং কীভাবে খরচ কমানো যায় তা ভাবা। চলুন, সবাই মিলে এই সমস্যা মোকাবেলা করি এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিই।