মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান উপদেষ্টা, সম্প্রতি জাদুঘরের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে ডিসেম্বরের মধ্যে একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি গণভবন পরিদর্শন করার সময় এই নির্দেশনা দেন। শেখ হাসিনার পতনের পর গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তরের পরিকল্পনা হয়েছে।
গত ৫ অগাস্ট, শেখ হাসিনা যখন ভারতে পালিয়ে যান, তখন জনতার রোষে গণভবন প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। ইউনূস বলেন, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেখানে শেখ হাসিনার শাসনামলের অপশাসনের স্মৃতি সংরক্ষিত হবে।” তিনি উল্লেখ করেছেন, জাদুঘরে একটি আয়না ঘর থাকবে, যা শেখ হাসিনার শাসনে বিরোধী কর্মীদের আটকে রাখার নির্মমতার কথা মনে করিয়ে দেবে।
গণভবনকে নিয়ে আলোচনা করার সময়, ইউনূসের সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তারা অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছেন যারা বিপ্লব এবং গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতির জন্য স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছেন।
গণভবনটি, যা বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার হিসেবে পরিচিত, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারপ্রধান থাকার সময় তার বাসভবন ছিল। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে এটি তার ঠিকানা হয়ে দাঁড়ায়। ইউনূস বলেছেন, জাদুঘরে শেখ হাসিনার শাসনের কালো অধ্যায়গুলোর প্রতিফলন ঘটবে এবং সেখানে জনগণের ক্ষোভের স্মৃতিও রাখা হবে।
এভাবে, গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করার মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক ইতিহাস গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মকে শেখাবে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো।
বাংলা নিউজ বিডি হাব/ রনি মিয়া