বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে আজ থেকে সারা দেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য একটি ব্যাপক যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হবে ।  রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যৌথ বাহিনীর অভিযান

এই অভিযান শুরু করার প্রধান কারণ হলো ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরের প্রেক্ষিতে সারা দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা থানার ভেতর সংরক্ষিত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায়। ফলে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটময় হয়ে পড়ে। যদিও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু তা খুবই সামান্য। অধিকাংশ অস্ত্র এখনো বাইরে রয়ে গেছে, যা আইন-শৃঙ্খলা অবনতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। লাইসেন্সধারীদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার কথা ছিল, না দিলে এটি অবৈধ বলে পরবর্তীতে বিবেচিত হবে।

এছাড়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশের ইউনিটে হামলা, ভাঙচুর এবং অস্ত্র লুটের ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত টহল ও নজরদারি অব্যাহত রাখা হবে।

সরকার আশা করছে, যৌথ বাহিনীর অভিযান দ্বারা লুট হওয়া অস্ত্রসহ অবৈধ অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হবে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করা যাবে।