বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। সম্প্রতি, এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে একটি পর্যালোচনা কমিটি, যা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার সুপারিশ করেছে।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রত্যাশীরা এই দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তারা মনে করেন, বর্তমান বয়সসীমা তাদের জন্য যথেষ্ট নয়। বিভিন্ন কারণে, যেমন করোনাভাইরাস এবং সেশন জট, অনেকের চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ কমে গেছে। তাই তারা ৩৫ বছর বয়সে চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ চান।

কমিটির রিপোর্ট

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, যিনি জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, জানান যে, তারা রিপোর্টটি প্রধান উপদেষ্টার দফতরে জমা দিয়েছেন।

কমিটির প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেছেন, “সরকারের বর্তমান নীতিমালা ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা বিবেচনা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেব।” তিনি আরও জানান যে, আন্দোলনকারীদের দাবির যৌক্তিকতা আছে।

আন্দোলনকারীদের অবস্থান

শাহবাগে কয়েকশ চাকরিপ্রত্যাশী সমবেত হয়ে আন্দোলন করেছেন। তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। সেখানে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। কিন্তু তারপরও তারা নিজেদের দাবি জানাতে অবস্থান করেন।

সরকারের প্রতিক্রিয়া

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিবেদনটির বিষয়ে আলোচনা হবে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বর্তমানে, সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বয়সসীমা ৩০ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের জন্য ৩২ বছর। তবে প্রতিবেদনে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের বয়সসীমা ৩২ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

পর্যালোচনা ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

এই প্রতিবেদন নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনা হবে। সেখান থেকে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। কমিটির সদস্যরা আশা করছেন, আলোচনার পর তারা একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবেন।

শেষ কথা

সার্বিক পরিস্থিতি ও আন্দোলনকারীদের দাবি নিয়ে সরকার যদি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়, তাহলে চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য এটি একটি বড় পরিবর্তন হতে পারে। বর্তমান যুব সমাজের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়