ইংল্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় অলরাউন্ডার মঈন আলী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

মঈন আলীর অবসর নেওয়ার কারণ

মঈন আলীর অবসর নেওয়ার কারণ

মঈন আলী জানান, “আমার বয়স এখন ৩৭ বছর। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে আমি দলে নেই। ইংল্যান্ডের হয়ে আমি অনেক ক্রিকেট খেলেছি, এবং এখন নতুন প্রজন্মের সময় এসেছে। এই উপলব্ধি নিয়ে আমি বুঝতে পেরেছি, আমার সময় শেষ, তাই অবসর নেওয়া প্রয়োজন।” তিনি আরো বলেন, “যদিও আমি এখনও মনে করি যে আমি খেলার জন্য যথেষ্ট ভালো, কিন্তু বাস্তবতা বুঝতে পেরে আমি অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মঈন আলী

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের চমকপ্রদ পর্যালোচনা

২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর মঈন আলী ইংল্যান্ডের হয়ে ৬৮টি টেস্ট, ১৩৮টি ওয়ানডে এবং ৯২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মোট ৬ হাজার ৬৭৮ রান, ৮টি সেঞ্চুরি এবং ২৮টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে। বল হাতে তিনি তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩৬৬ উইকেট নিয়েছেন।

বিশেষ করে, গত বছর টেস্ট ক্রিকেটে অবসর ভেঙে অ্যাশেজ সিরিজে দুটি ম্যাচ খেললেও, পরবর্তীতে তিনি আবারও টেস্ট থেকে অবসর ঘোষণা করেন। এরপরও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলতে থাকেন। তবে আজ, ৩৭ বছর বয়সী মঈন আলী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে চূড়ান্ত বিদায় জানালেন।

মঈন আলীর অবসর নেওয়ার কারণ

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা

মঈন আলী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। তিনি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলবেন এবং ভবিষ্যতে কোচিংয়ের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “কোচিংয়ে আসতে চাই। ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারব। আশা করছি সবাই আমাকে মুক্ত চেতনার মানুষ হিসেবে চিনবে।”

মঈন আলী ভবিষ্যতে কোচিংয়ে আসতে চান এবং এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জনের জন্য প্রস্তুত। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলার সুযোগ পেয়ে গর্বিত এবং আশা করছেন যে তার খেলোয়া ক্যারিয়ার মানুষের মনে একটি বিশেষ স্থান করে রাখবে।

মঈন আলীর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ একটি যুগের অবসান। তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার ও অবসর নিয়ে দেওয়া বিস্তারিত বিবৃতি অনেকেই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে তার অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।