আমি মুশফিকুল ফজল আনসারীকে নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। সম্প্রতি, বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকার তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। তিনি সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি করবেন। তার এই নিয়োগ তিন বছরের জন্য এবং তিনি কোনো অন্য পেশা, ব্যবসা বা সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সোমবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে, তিনি কোন দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি।
মুশফিকুল ফজল আনসারী একজন সফল সাংবাদিক। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, জাস্ট নিউজ বিডি ডটকমের সম্পাদক। তিনি জাতিসংঘ এবং হোয়াইট হাউজের স্থায়ী সংবাদদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন, বিশেষ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বাচন এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিষয়গুলোতে।
২০১৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। এর আগে, তিনি খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার সাংবাদিকতার যাত্রা শুরু হয়, যখন তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া আউটলেটেও কাজ করেছেন এবং বিশ্বব্যাংকের কনসালট্যান্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
মুশফিকুল ফজল আনসারী আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর সাথে যুক্ত থেকে বাংলাদেশের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন। এখন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার নতুন দায়িত্বে আশা করা হচ্ছে যে, তিনি দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সক্ষম হবেন।
তিনি আমাদের দেশের জন্য গর্বের বিষয়, কারণ তিনি সাহসী ও দায়িত্বশীল সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। তার নতুন পদে আমরা প্রত্যাশা করছি, তিনি বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি কাজ করবেন এবং আমাদের দেশের নাম উজ্জ্বল করবেন।
মুশফিকুল ফজল আনসারীকে নিয়ে আমরা সবাই গর্ব অনুভব করি। তার এই নতুন দায়িত্ব দেশের জন্য এক নতুন আশা নিয়ে এসেছে। তিনি আশা করি, তার কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি আরও অনেক মানুষের মনে স্থান করে নেবেন।
এই পরিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের দেশের বিদেশে আরও ভালো পরিচিতি হবে। আমরা তার সফলতা কামনা করছি এবং আশা করি, তিনি তার দায়িত্বে পূর্ণতা পাবেন।
মুশফিকুল ফজল আনসারী একজন উদাহরণ, যারা নিজেদের কাজের মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হন। তার এই নতুন দায়িত্ব দেশের তরুণ সাংবাদিকদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হতে পারে। তার নেতৃত্বে অনেকেই আশা করতে পারেন যে, সাংবাদিকতার মাধ্যমে তারা নিজেদের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়িত করতে পারবেন।
এখন দেখা যাক, রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি কীভাবে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করেন এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের নাম উজ্জ্বল করেন।
বাংলা নিউজ বিডি হাব/ জহিরুল ইসলাম