মুরগি ও ডিমের নতুন দাম

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে মুরগি ও ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়।

চিঠি অনুযায়ী, ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে উৎপাদক পর্যায়ে প্রতি পিস ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। সোনালি মুরগির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে উৎপাদক পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৬০ টাকা ৭৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ২৬৪ টাকা ৫৭ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা। ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে উৎপাদক পর্যায়ে প্রতি কেজি ১৬৮ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১৭২ টাকা ৬১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা।

এই মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়, যা কৃষি বিপণন অধিদফতর, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এবং পোলট্রি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত। গ্রুপের মতামতের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের জন্য ডিম ও মুরগির যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মুরগি (সোনালি ও ব্রয়লার) এবং ডিমের মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করে। এরপর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এই মূল্য সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে।

এছাড়া, উৎপাদক, পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করা হলেও, বাজারে সেগুলি কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানীর কিছু বাজারে, যেমন শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল বাজারে দেখা যাচ্ছে যে, নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে মুরগি ও ডিম বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের মতে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাইব্রিড সোনালি মুরগির দাম ২৪০ টাকা কেজি। ফার্মের বাদামি ডিমের প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা এবং সাদা ডিম ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত কয়েক মাসে বাজারে ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া হলেও, তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য কিছু জায়গায় বন্যার কারণে মুরগির খামার নষ্ট হওয়া এবং আমদানির ডিমের সংকটও দায়ী। বাজার নিয়ন্ত্রণে ডিম আমদানি করা হলেও, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম কমছে না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।