পোলারিস ডন মিশন ২৬ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ সময় সকাল ১১:৩৮ টায় (ইডিটি ৩:৩৮ এএম) উৎক্ষেপণ হতে যাচ্ছে। এই মিশনটি একটি ফ্যালকন ৯ রকেটে উড্ডয়ন করবে এবং ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল ‘রেজিলিয়েন্স’ নিয়ে তৃতীয় ভ্রমণ করবে। মিশনের অধিনায়ক হিসেবে থাকবেন জ্যারেড আইসাকম্যান; পাইলট হিসেবে থাকবেন প্রাক্তন ইউএস এয়ার ফোর্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্কট “কিড” পোতিট; মিশন বিশেষজ্ঞ হিসেবে থাকবেন স্পেসএক্সের লিড স্পেস অপারেশন ইঞ্জিনিয়ার সারা গিলিস এবং মিশন বিশেষজ্ঞ ও মেডিকেল অফিসার হিসেবে থাকবেন আন্না মেনন।

পোলারিস ডন মিশনের উদ্দেশ্য

পোলারিস ডন মিশন শুধুমাত্র একটি মহাকাশ ভ্রমণ নয়, এটি একটি মানবদরদী উদ্যোগও। এই মিশনটি শিশুদের ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করা সেন্ট জুড চিলড্রেনস রিসার্চ হসপিটালের জন্য তহবিল সংগ্রহ করবে।

জ্যারেড আইসাকম্যান বলেছেন, “আমরা আগের ইনস্পিরেশন৪ মিশনের মাধ্যমে সেন্ট জুডের জন্য ২৫০ মিলিয়নের বেশি ডলার সংগ্রহ করেছি। পোলারিস ডনের মাধ্যমে আমরা আরও লক্ষ লক্ষ ডলার সংগ্রহ করছি এবং ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।”

সেন্ট জুডের জন্য তহবিল সংগ্রহ

পোলারিস ডন মিশন সেন্ট জুডের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহ করতে বিভিন্ন অংশীদার খুঁজে পেয়েছে।

ডোরিটোস নতুন জিরো গ্রাভিটি কুল রাঞ্চ চিপ তৈরি করেছে যা মহাকাশে নিরাপদে খাওয়া যাবে এবং এটি তহবিল সংগ্রহ প্রকল্পের অংশ হিসেবে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে। এই প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই ৫৩৮,০০০ ডলার সংগ্রহ করেছে এবং এর লক্ষ্য ৫৮৫,০০০ ডলার।

অন্যদিকে, বিলাসবহুল ঘড়ি প্রস্তুতকারক IWC Schaffhausen পাইলট ওয়াচ ক্রোনোগ্রাফ এডিশন “পোলারিস ডন” ঘড়ি দান করেছে যা মিশন চলাকালীন পরা হবে এবং পরে নিলামে বিক্রি করা হবে সেন্ট জুডের জন্য।

পোলারিস ডন মিশনের প্রস্তুতি

পোলারিস ডন ক্রু ২৬ আগস্ট উৎক্ষেপণের এক সপ্তাহ আগে কেপ ক্যানাভেরাল, ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে পৌঁছে গেছে। মিশনের অংশ হিসেবে নতুন স্পেসসুট পরীক্ষা করা হবে এবং পাঁচ দিনের মিশনে একটি দুই ঘণ্টার স্পেসওয়াক করা হবে।

এই মিশনটি নতুন স্পেসসুট পরীক্ষা করবে এবং উচ্চতায় ভ্রমণের সময় এক্সট্রা-ভেহিকুলার অ্যাক্টিভিটি (ইভিএ) স্যুট ব্যবহার করে মহাকাশে একটি স্পেসওয়াক করবে।

পোলারিস ডন মিশনের স্ন্যাকস

পোলারিস ডন মিশনে কিছু নতুন স্ন্যাকসও মহাকাশে পাঠানো হবে। ডোরিটোস একটি বিশেষ ধরনের জিরো গ্রাভিটি কুল রাঞ্চ চিপ তৈরি করেছে যা মহাকাশে নিরাপদে খাওয়া যাবে।

মিশনের বৈশিষ্ট্য

পোলারিস ডন মিশনের বৈশিষ্ট্য হলো এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৮৭০ মাইল উঁচুতে যাবে, যা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (আইএসএস) থেকে তিন গুণ বেশি উচ্চতা। এর ফলে মিশনটি ভ্যান অ্যালেন রেডিয়েশন বেল্টের গভীরে প্রবেশ করবে।

মিশনটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্রথমবারের মতো বেসরকারি নভোচারীদের দ্বারা একটি স্পেসওয়াক সম্পন্ন করা হবে।

পোলারিস ডন মিশনের চ্যালেঞ্জ

এই মিশনটি বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা করবে এবং বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। নতুন স্পেসসুটের ডিজাইন এবং স্পেসএক্সের উন্নত প্রযুক্তি এই মিশনকে বিশেষ করে তুলেছে।

FAQ

পোলারিস ডন মিশন কবে শুরু হবে?

পোলারিস ডন মিশন ২৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে শুরু হবে।

মিশনটির উদ্দেশ্য কি?

মিশনটির উদ্দেশ্য হল মহাকাশে নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা করা এবং সেন্ট জুড চিলড্রেনস রিসার্চ হসপিটালের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা।

কে কে এই মিশনে অংশ নিচ্ছেন?

এই মিশনে অংশ নিচ্ছেন জ্যারেড আইসাকম্যান, স্কট পোতিট, সারা গিলিস এবং আন্না মেনন।

পোলারিস ডন মিশনে কী ধরনের স্পেসসুট ব্যবহার হবে?

পোলারিস ডন মিশনে নতুন ধরনের স্পেসসুট ব্যবহার করা হবে যা স্পেসএক্স দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে।

কতদিনের মিশন এটি?

এই মিশনটি পাঁচ দিনের জন্য হবে।

স্পেসওয়াকটি কবে করা হবে?

মিশনের তৃতীয় দিনে স্পেসওয়াকটি করা হবে।

স্পেসএক্সের কোন রকেট ব্যবহার করা হবে?

স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট ব্যবহার করা হবে।

সেন্ট জুডের জন্য কত তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছে?

ডোরিটোসের প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৩৮,০০০ ডলার তহবিল সংগ্রহ হয়েছে।

এই মিশনে কি ধরনের স্ন্যাকস নেওয়া হবে?

মিশনে নতুন ধরনের জিরো গ্রাভিটি কুল রাঞ্চ চিপ নেওয়া হবে।

পোলারিস ডন মিশনের উচ্চতা কত হবে?

মিশনটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৮৭০ মাইল উচ্চতায় যাবে।