বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি একটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছে, যার নাম ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’। এই কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য হলো জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা। কমিশনের প্রধান হয়েছেন সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেন। কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, সাবেক অতিরিক্ত সচিব, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার এবং মানবাধিকার কর্মী।

কমিশনের প্রধান এবং সদস্যরা

কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন। কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন:

  • আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ (অতিরিক্ত সচিব)
  • মোহাম্মদ ইকবাল (সাবেক অতিরিক্ত সচিব)
  • মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী (সাবেক বিভাগীয় কমিশনার)
  • শেখ সাজ্জাদ আলী (সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক)
  • মো. গোলাম রসুল (ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল)
  • শাহনাজ হুদা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক)
  • এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান (মানবাধিকার কর্মী)
  • একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

কমিশনের কাজ এবং দায়িত্ব

এখন থেকে কমিশন কাজ শুরু করবে। তারা ৯০ দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে। এই প্রতিবেদনে পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রম ও প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে সুপারিশ থাকবে। কমিশন সরকারি নির্দেশে কাজ করবে এবং যেকোনো ধরনের তথ্য সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সহযোগিতা পাবে।

সরকারের উদ্যোগ

সরকারের এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো পুলিশ বাহিনীর উন্নতি করা। পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রম জনমানুষের জন্য আরও নিরাপদ এবং স্বচ্ছ করে তোলা। কমিশনের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর সম্পর্ক উন্নত হবে। জনগণের মতামত নিয়েই কমিশন কাজ করবে, যাতে সকলের আস্থা অর্জন করা যায়।

কমিশনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা

কমিশনটির কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ মনোযোগ দিবে। কমিশনের সদস্যরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বেতন এবং সুবিধা পাবেন। তবে যদি তারা অবৈতনিকভাবে কাজ করতে চান, তাহলে সেটি সরকারের অনুমোদনের মাধ্যমে হবে।

প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ

কমিশনের কাজের জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করবে। তারা যেকোনো সময়ে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার অধিকার রাখবে।

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের পথে এক নতুন সূচনা। জনগণ আশা করে, এই কমিশন পুলিশের কার্যক্রমকে আরও স্বচ্ছ ও জনমুখী করে তুলবে। আমরা সবাই চাই, আমাদের পুলিশ বাহিনী হবে জনগণের বন্ধু, যারা সবসময় সত্যের পাশে থাকবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।