বর্তমানে বাংলাদেশে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সরকার ৫টি নতুন কমিশন গঠন করেছে। এটি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমস্যাগুলি সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা সবাই জানি, একটি দেশের উন্নতির জন্য সঠিক ও সুশাসন ব্যবস্থা অপরিহার্য। তাই আজ আমরা জানবো এই কমিশনগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য, সদস্য এবং তাদের কাজের প্রক্রিয়া কেমন হবে।

কমিশনের গঠন এবং সদস্যরা

৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৫টি কমিশনের গঠন নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এ কমিশনগুলো হলো:

  1. নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন
    • প্রধান: ড. বদিউল আলম মজুমদার
    • সদস্য:
      • ড. তোফায়েল আহমেদ
      • জেসমিন টুলী
      • ড. মো. আব্দুল আলীম
      • ড. জাহেদ উর রহমান
      • মীর নাদিয়া নিভিন
      • ড. মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস
      • একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
  2. বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন
    • প্রধান: বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান
    • সদস্য:
      • বিচারপতি এমদাদুল হক
      • বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী
      • সাইয়েদ আমিনুল ইসলাম
      • মাজদার হোসেন
      • তানিম হোসেন শাওন
      • কাজী মাহফুজুল হক (সুপন)
      • একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
  3. পুলিশ সংস্কার কমিশন
    • প্রধান: সফর রাজ হোসেন
    • সদস্য:
      • আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ
      • মোহাম্মদ ইকবাল
      • মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী
      • শেখ সাজ্জাদ আলী
      • মো. গোলাম রসুল
      • শাহনাজ হুদা
      • এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান
      • একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
  4. দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন
    • প্রধান: ড. ইফতেখারুজ্জামান
    • সদস্য:
      • মাসুদ আহমেদ
      • মোবাশ্বের মোনেম
      • মোস্তাক খান
      • মাহদীন চৌধুরী
      • ড. মাহবুবুর রহমান
      • ফারজানা শারমিন
      • একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
  5. জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
    • প্রধান: আব্দুল মুয়িদ চৌধুরী
    • সদস্য:
      • ড. মোহাম্মদ তারেক
      • ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া
      • ড. মো. মোখলেস উর রহমান
      • মো. হাফিজুর রহমান
      • ড. রিজওয়ান খায়ের
      • অধ্যাপক একেএ ফিরোজ আহমেদ
      • একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

কমিশনের কাজের লক্ষ্য

প্রতি কমিশনের কাজ হচ্ছে একটি কার্যকর, জবাবদিহিমূলক ও জনগণের জন্য উপকারি ব্যবস্থা তৈরি করা। কমিশনগুলো তাদের কার্যক্রম ৩ অক্টোবর থেকে শুরু করবে এবং ৯০ দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে। এই প্রতিবেদনে তারা যে সুপারিশ করবে তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হবে।

সরকারের সহযোগিতা

সরকার কমিশনগুলোর কার্যক্রমকে সহায়তা করবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্ত প্রদান করবে। কমিশনগুলো চাইলে নতুন সদস্য যোগ করতে পারবে। সরকার সকল কমিশনকে সচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।

আমাদের ভবিষ্যত

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সংস্কারগুলো আমাদের জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলবে? নতুন কমিশনগুলো যখন কাজ শুরু করবে, তখন তারা আমাদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। আমরা আশা করি, আমাদের দেশে আইন, নির্বাচন এবং পুলিশের সেবা আরও উন্নত হবে।

শেষ কথা

রাষ্ট্র সংস্কারের এই উদ্যোগ আমাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে। আমরা আশা করি, কমিশনগুলো নিজেদের কাজ সম্পন্ন করে সঠিক পরামর্শ দিতে সক্ষম হবে, যা আমাদের সমাজকে আরও উন্নত করবে।